গ্রাফিক— সনৎ সিংহ।
নির্মলার বাজেটে ফিরলেন বাজপেয়ী। ফিরে এল নদী-সংযুক্তিকরণের পরিকল্পনা। বাজপেয়ী সরকারের হাতে যে পরিকল্পনার সূচনা, বাইশের বাজেট প্রস্তাবে তাতেই আরও এক কদম এগোল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। মঙ্গলবার বাজেট প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বললেন, ‘‘নদী সংযুক্তিকরণের পাঁচটি প্রকল্প চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।’’
কৃষি প্রধান ভারতে জলের জন্য কৃষকরা মূলত নির্ভরশীল বর্ষার জলের উপর। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ দেশে বর্ষাকাল। কিন্তু ইদানীং সেই ধারাচক্রে কিছুটা বদল অনুভূত হচ্ছে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাজপেয়ী আমলে নদী সংযুক্তিকরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। যাতে দেশ জুড়ে জলসম্পদের পর্যায়ক্রমিক সুষম বণ্টন সম্ভব হয়। কিন্তু এর বিপরীত মতও আছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে একটি অংশের দাবি। বিতর্কের জোয়ারে সেই দফায় পরিকল্পনার সাময়িক সলিল সমাধি হলেও, চলতি বাজেট প্রস্তাবে তা-ই ফিরল নতুন চেহারায়।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করলেন, ‘‘পাঁচটি নদী সংযুক্তিকরণ প্রকল্প চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।’’ উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, কেন্-বেতোয়া নদী প্রকল্পের কথা। এ জন্য ৪৪ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ফলে ৯ লক্ষ হেক্টরেরও বেশি জমিতে চাষের জল দেওয়া সম্ভব হবে। ৬৫ লক্ষ মানুষ সরাসরি এর ফলে উপকৃত হবেন। এ ছাড়াও আরও পাঁচটি নদী সংযুক্তিকরণ প্রকল্প চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন নির্মলা। এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। একে ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বুন্দেলখণ্ড এলাকার কেন্ নদী উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত এবং বেতোয়া নদী মধ্যপ্রদেশের হোসাঙ্গাবাদের বিন্ধ পর্বত থেকে বেরিয়ে উত্তরপ্রদেশে প্রবাহিত।