কর্পোরেট কর ছাঁটাইয়ের মতো পদক্ষেপে ঝড় থামেনি। বরং উদ্বেগ বাড়িয়ে আরও প্রবল হয়ে আছড়ে পড়েছে অর্থনীতির উঠোনে। শনিবার তাই ঘুরে দাঁড়ানোর মতো সাহসী সংস্কারের বার্তা চেয়েছিল শিল্প। কিন্তু অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেট পড়া থামতেই একাংশের প্রশ্ন, কোথায় সেই কিক-স্টার্ট? যার অপেক্ষায় ছিল দেশ? ফলে এখনই অর্থনীতির চাকা ঘোরার আশা দেখছে না তারা। যদিও অন্য অংশের যুক্তি, এত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দিশা দেখিয়েছেন নির্মলা।
কর নিয়ে শিল্পের হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন যে বায়োকনের সিএমডি কিরণ মজুমদার শ, এ দিন তাঁর মন্তব্য, ‘‘অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে আশাবাদী নই।’’ ডিভিডেন্ড বণ্টন কর সংস্থার বদলে লগ্নিকারীর উপর চেপেছে। এতে ক্রেতার খরচে আরও টান পড়বে বলে মনে করেন তিনি। অথচ অনেকেই বলছেন, ক্রেতা খরচ করবে এমন দাওয়াই-ই তো দরকার ছিল। ডক্টর রেড্ডিজ় ল্যাবরেটরিজ়ের চেয়ারম্যান সতীশ রেড্ডি, সিআইআইয়ের দুই প্রাক্তন কর্তা অলোক মুখোপাধ্যায় ও দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় একবাক্যে বলছেন, বাজেটে বড়সড় সংস্কারের মাধ্যমে সেই জোর ধাক্কা নেই। একই দাবি ডাবর ইন্ডিয়ার কর্তা মোহিত মলহোত্রর।
দীপঙ্করবাবুর দাবি, ‘‘এটাই সুযোগ ছিল। কিন্তু বাসটা মিস করল কেন্দ্র। রফতানিতে সুবিধা, সাত দিনে জিএসটি-রিফান্ড বা ইস্পাত-সিমেন্ট-বিদ্যুতের যে সব প্রকল্প থমকে, অন্তত সেগুলি চালুর পদক্ষেপ করলে অর্থনীতিতে গতি আসত।’’
বাজেটকে স্বাগত জানালেও, বেঙ্গল চেম্বারের প্রেসিডেন্ট বি বি চট্টোপাধ্যায় ও টাটা স্টিল কর্তা পীযূষ গুপ্তের মতে, ঘাটতিকে নিয়ন্ত্রণে রেখে সরকার কী ভাবে খরচ করবে তা স্পষ্ট নয়। প্রশ্ন আছে আয়কর ছাড়েও।
তবে সিআইআই প্রেসিডেন্ট বিক্রম কির্লোস্কর, ফিকির প্রেসিডেন্ট সঙ্গীতা রেড্ডি, হিন্দুজা গোষ্ঠীর সহযোগী চেয়ারম্যান গোপীচাঁদ পি হিন্দুজাদের মতে, কঠিন পরিস্থিতিতে প্রশংসনীয় কাজ করেছেন নির্মলা। সিআইআইয়ের কর্তা চন্দ্রশেখর ঘোষ ও সঞ্জয় বুধিয়ার বক্তব্য, কিছুটা সহজ হয়েছে হাতে টাকা আসার পথ।