প্রতীকী ছবি।
বিপুল ভোটে জিতে দ্বিতীয় বারের জন্য মসনদে ফিরেছে মোদী সরকার। বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তোলার কাজ সারা। সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যায় মন্দির তৈরির রায়ও গিয়েছে শাসক দলের পক্ষে। কিন্তু এখনও খচখচ করছে অর্থনীতির কাঁটা। বিশেষত বেকারত্ব। কাজের সুযোগ তৈরি না-হওয়া ও আর্থিক অনিশ্চয়তার সেই ছবিই ভারতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মত ইকনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ)।
উপদেষ্টা সংস্থাটির মতে, দেশের বিশাল জনসংখ্যার অধিকাংশই এখন তরুণ। প্রতি বছরে কাজের বাজারে পা রাখছে কয়েক লক্ষ ছেলেমেয়ে। যা ভারতের অন্যতম শক্তি। কিন্তু সেই অনুসারে কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। যেটা তাঁদের আর্থিক নিরাপত্তা দিতে জরুরি। কাজ না-পাওয়ার সেই হতাশাই এক সময়ে গিয়ে ভোট বাক্সে প্রভাব ফেলবে বলে মত সংস্থাটির।
বৃদ্ধি এখন তলানিতে। বাজারে চাহিদা নেই। বিভিন্ন শিল্পে চলছে ছাঁটাই। বেকারত্ব তিন বছরে সর্বাধিক। কেন্দ্রের পদক্ষেপ সত্ত্বেও, কত দিনে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে, তা বোঝা যাচ্ছে না। ২০১৮ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস ছিল, ভারতে কাজের জগতে যে হারে মানুষ পা রাখছে, তাতে বছরে অন্তত ৮১ লক্ষ নতুন চাকরি জরুরি।
ইআইইউ-এর মতে, এটা ঠিক যে, দেশে অসংগঠিত ক্ষেত্রে যে সংখ্যক কাজ তৈরি হচ্ছে, তা পরিসংখ্যানে সব সময়ে ঠিক মতো ধরা পড়ে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন্দ্রের নানা পদক্ষেপ সকলকে কাজ দেওয়ার পক্ষে ‘যথেষ্ট’ নয়। এ জন্য কাঠামোগত সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করেছে তারা।