Coronavirus Lockdown

গ্রামে ফের বাড়ছে বেকারত্বের হার 

হিসেব বলছে, ২৬ জুলাই ফুরনো সপ্তাহে গ্রামে বেকারত্ব ৭.৬৬%। শহরে ৯.৪৩%। ১৯ জুলাই শেষ সপ্তাহে তা ছিল যথাক্রমে ৭.১০% ও ৯.৭৮%। দেশে ৭.৯৪% থেকে বেড়ে ৮.২১%। শহরে বেকারত্ব কমা এবং গ্রামে বৃদ্ধির এই ছবি দেখা গিয়েছিল ১৯ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২০ ০৬:১০
Share:

প্রতীকী ছবি

যে ছবির আভাস মিলেছিল, তারই আঁকিবুকি কিছুটা স্পষ্ট হল পরের সাত দিনে।

Advertisement

উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র পরিসংখ্যান দেখাল, টানা দু’সপ্তাহে গ্রামে বেকারত্বের হার ঊর্ধ্বমুখী। বরং নিম্নমুখী শহরাঞ্চলে। দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে সার্বিক ভাবে দেশেও তা ১৫ দিন পরে ফের ঢুকেছে ৮ শতাংশের ঘরে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, প্রধানমন্ত্রী যেখানে গ্রামে ফেরা মানুষদের জন্য ঘরের কাছে কাজের কথা বলছেন, সেখানে গ্রামাঞ্চলেই বেকারত্ব বৃদ্ধি সেই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে মেলে কি?

হিসেব বলছে, ২৬ জুলাই ফুরনো সপ্তাহে গ্রামে বেকারত্ব ৭.৬৬%। শহরে ৯.৪৩%। ১৯ জুলাই শেষ সপ্তাহে তা ছিল যথাক্রমে ৭.১০% ও ৯.৭৮%। দেশে ৭.৯৪% থেকে বেড়ে ৮.২১%। শহরে বেকারত্ব কমা এবং গ্রামে বৃদ্ধির এই ছবি দেখা গিয়েছিল ১৯ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহেও।

Advertisement

সমীক্ষা অনুযায়ী, বহু বড় শহর, শিল্পতালুক, কারখানা এখনও করোনায় কাবু। কিন্তু সেখানে বেকারত্ব কমার কারণ ‘আনলক’ পর্বে অসংগঠিত ক্ষেত্রের অনেকের কাজে ফেরা। যেমন, লকডাউন শিথিলের পরে বহু বাড়িতে কাজে ফিরছেন পরিচারক, পরিচারিকা, রান্নার লোক। ডিউটিতে যাচ্ছেন গাড়ির চালক। ভাড়ার আশায় অ্যাপ-ক্যাব, ট্যাক্সি, অটোরিকশা, ই-রিকশার চালকেরা পথে নামছেন। রুজির সন্ধানে কাজে বেরোচ্ছেন এমন আরও অনেকে। তা ছাড়া, করোনা ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে এই মুহূর্তে শহরে নতুন কাজ খোঁজার ঝোঁক কম। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, শহরে বেকারত্বের হার মুখ নামানোর বড় কারণ সেটিও।

অন্য দিকে, কাজ হারিয়ে গ্রামে ফিরে সেখানেই রোজগারের চেষ্টা করছেন লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। কাজ খুঁজছেন শহরে কাজ না-পেয়ে গ্রামের বাড়িতে ফেরা অন্য কর্মীরাও। ফলে সেখানে কর্মপ্রার্থীর সংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে শুধু একশো দিনের কাজ বা প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ রোজগার প্রকল্পের জোরে কাজের জোগান আর যথেষ্ট রাখা যাচ্ছে না। তাই প্রধানমন্ত্রী যতই নিজের গ্রামে ঘরের কাছে কাজ পাওয়ার আশ্বাস দিন, গ্রামাঞ্চলে দ্রুত মাথা তুলছে বেকারত্ব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement