প্রতীকী ছবি।
কথা ছিল সরকারি-বেসরকারি সমস্ত ব্যাঙ্ক তাদের মোট শাখার ১০ শতাংশে আধার নম্বর নথিভুক্তি ও কার্ড সংশোধনের কেন্দ্র তৈরি করবে অগস্টের মধ্যে। কিন্তু অনেকেই তা করে উঠতে পারেনি। তাই এই শিবির গড়ার সময়সীমা আরও এক মাস বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর করলেন আধার কর্তৃপক্ষ (ইউআইডিএইআই)। কিন্তু একই সঙ্গে তাঁদের হুঁশিয়ারি, তার পরেও তা না-হলে শাস্তি হিসেবে অক্টোবর থেকে গুনতে হবে জরিমানা। প্রতিটি বাকি থাকা শাখার জন্য মাসে ২০ হাজার টাকা করে দিতে হবে।
গোড়ায় শুধু সরকারি সামাজিক সুরক্ষা পেতে আধার লাগছিল। কিন্তু এখন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, প্যান, বড় অঙ্কের লেনদেনের মতো বিষয়েও তা বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্র। অথচ অনেকেরই এখনও ওই নম্বর তৈরি হয়নি। কিছু কার্ডে আবার নানান ভুল ধরা পড়েছে, যেগুলির সংশোধন জরুরি। কিন্তু প্রয়োজনের চেয়ে আধার নথিভুক্তি ও সংশোধনের কেন্দ্র কম থাকায় সমস্যায় পড়ছেন আমজনতা।
দেশে এখন বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ১.২০ লক্ষ শাখা। আধার কেন্দ্র চালু হওয়ার কথা ১২ হাজার শাখায়। অনেক ব্যাঙ্কই জানায়, এই কেন্দ্র তৈরির প্রয়োজনীয় যন্ত্র কেনা, কর্মী ও সংস্থা নিয়োগের প্রক্রিয়া এখনও চলছে।
ইউআইডিএইআই-এর সিইও অজয় ভূষণ পাণ্ডে বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কগুলি আরও সময় চেয়েছিল। তাই দিয়েছি। তার পরেও কেন্দ্র না-হলে প্রতিটি শাখার জন্য মাসে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।’’ অর্থাৎ কোনও ব্যাঙ্ক ৫টি শাখায় কেন্দ্র খুলতে না-পারলে অক্টোবরে দিতে হবে এক লক্ষ টাকা। পরের মাসেও বাকি থাকা প্রতি শাখার জন্য ২০ হাজার করে।