প্রতীকী ছবি।
মূল্যবৃদ্ধির আঁচ যত বাড়ছে, অর্থনীতি নিয়ে তত চেপে বসছে সংশয় আর আশঙ্কা। ফলে দেশে জিডিপি বৃদ্ধির প্রত্যাশিত হার সম্পর্কে নিজেদের দেওয়া পূর্বাভাস কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছে বিভিন্ন আর্থিক এবং উপদেষ্টা সংস্থা। এ বার সেই তালিকায় পা রাখল বহুজাতিক আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী ইউবিএস। চলতি অর্থবর্ষে ওই হার আগের ঘোষিত হারের থেকে ৭০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনল তারা।
ইউবিএসের দাবি, জ্বালানির চড়া দামে জিনিসপত্র রকেটের গতিতে দামি হচ্ছে। ফলে স্থানীয় স্তরে চাহিদা পড়ছে ঝিমিয়ে। অথচ বহু মানুষের রুজি-রোজগার নেই। এই সব কিছুর জেরে গোটা বিশ্বেই শ্লথ হচ্ছে আর্থিক বৃদ্ধির গতি। ব্যতিক্রম নয় ভারত।
এর আগে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক মূল্যবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে (১২০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫.৭%), সম্ভাব্য আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৮% থেকে কমিয়ে এনেছিল ৭.২ শতাংশে। সপ্তাহ খানেক আগে বিশ্ব ব্যাঙ্কও ভারত এবং পুরো দক্ষিণ এশিয়ার আনুমানিক আর্থিক বৃদ্ধির হার কমিয়ে দিয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে জোগান সঙ্কটের পাশাপাশি তারাও আঙুল তুলেছে মূল্যবৃদ্ধির দিকে।
এ দিন ইউবিএসের অর্থনীতিবিদ তনভি গুপ্ত বলেন, ‘‘বিশ্ব বাজারে পণ্যের চড়া দাম গৃহস্থের ক্রয়ক্ষমতা ও সংস্থাগুলির মুনাফায় প্রভাব ফেলবে। সীমিত করে দেবে সরকারের মূলধনী খাতে খরচ করার ক্ষমতাকেও।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ভারত প্রয়োজনের ৮০% তেলই আমদানি করে। যে কারণে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের ব্যারেল পিছু ১০০ ডলার ছাড়ানো দর এক দিকে দেশের বাণিজ্য এবং চলতি খাতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন ঘাটতিকে ঠেলে তুলছে। অন্য দিকে লাগামছাড়া করছে আমদানি ভিত্তিক মূল্যবৃদ্ধিকে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জ, মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রা এবং ক্রিসিলও ভারতে বৃদ্ধির পূর্বাভাস আগের থেকে কমিয়েছে। ইউবিএসের ইঙ্গিত, পরের অর্থবর্ষ থেকে ভারতে জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬%।