বিক্ষোভের আঁচেও বিচ্ছেদের বিষাদ, স্মৃতিমেদুর ফ্লিপকার্টের ‘জয়-বীরু’

২০০৭ সালে ফ্লিপকার্টের ‘জন্মের’ পরে বিন্নি আর সচিন বনসলের বন্ধুত্ব দেখে ভারতীয় স্টার্ট আপ মহলে তাদের নামই হয়ে গিয়েছিল জয়-বীরু।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৮ ০২:১১
Share:

প্রতিবাদ: চুক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। দিল্লিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের সদস্যদের। ছবি: রয়টার্স

এক দিকে, পাশাপাশি লম্বা পথ হেঁটে আসার স্মৃতিমেদুরতা। আর অন্য দিকে, বিক্ষোভের গনগনে আঁচ। এমনকী সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগও। চুম্বকে এটিই সম্ভবত ফ্লিপকার্ট হাতে নিতে ওয়ালমার্টের ঘোষণার পরের চব্বিশ ঘণ্টা।

Advertisement

২০০৭ সালে ফ্লিপকার্টের ‘জন্মের’ পরে বিন্নি আর সচিন বনসলের বন্ধুত্ব দেখে ভারতীয় স্টার্ট আপ মহলে তাদের নামই হয়ে গিয়েছিল জয়-বীরু। শোলে সিনেমার দৌলতে অভিন্ন হৃদয় বন্ধুত্বের প্রতীক ধরা হয় যাঁদের। বিন্নির দাবি, সেই বন্ধুকে এ ভাবে সরে যেতে দেখা কষ্টের। তাঁর কথায়, ‘‘দেখা হয়েছিল ২০০৫ সালে। যখন দিল্লি আইআইটি থেকে পাস করে বেরোচ্ছি। দুজনেই বেঙ্গালুরু আসি। আট বন্ধু সব সময় একসঙ্গে সময় কাটাতাম।’’

মন খারাপ ‘প্রিয় বন্ধু’ সচিনেরও। ফেসবুকের দেওয়ালে ফুটে উঠেছে তাঁর আবেগঘন বিদায়ী বার্তা। যেখানে ফ্লিপকার্টে কাজ ফুরোনোর কথা লিখেছেন তিনি। বলেছেন, আগামী দিনে বাইরে থেকে সংস্থাকে উৎসাহিত করার কথাও। যদিও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, সত্যিই কি স্বেচ্ছায় সরলেন সচিন? না কি তাঁকে যেতে হল ওয়ালমার্টের চুক্তির শর্ত হিসেবেই?

Advertisement

ওই চুক্তি ঘিরেই আবার এ দিন বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ। তারা অবরোধ করেছে দিল্লির রাজপথ। তাদের নেতা অশ্বিনী মহাজন কটাক্ষ করেছেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমারকে। এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন যিনি।

আরও পড়ুন:

ওয়ালমার্ট ঢোকায় ভারতের অনলাইন শপিং ফিরে পাবে ডিসকাউন্ট বোনানজা​

মোদী সরকারকে তুলোধোনা করেছে সিপিএমও। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার আঙুল তুলেছে তারা। তবে মন ভেজাতে ওয়ালমার্ট কর্তা ডাগ ম্যাকমিলন অবশ্য কর্মসংস্থানের বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, তারা ফ্লিপকার্ট কেনায় তৈরি হবে এক কোটি নতুন কাজের সুযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement