প্রতীকী ছবি।
লকডাউন ওঠার পরে ধাপে ধাপে কাজ-কারবার শুরু হওয়ায় অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে বলে দাবি কেন্দ্রের।
এক বিবৃতিতে অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, কারখানার উৎপাদন ও পরিষেবা ক্ষেত্রে মে মাসে সঙ্কোচন হয়েছে ঠিকই। কিন্তু এপ্রিলের থেকে কম। জ্বালানি ও বিদ্যুতের ব্যবহার, যাতায়াত, খুচরো আর্থিক লেনদেনের সূচকে সেই লক্ষণ স্পষ্ট। আশা, বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার, মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নির মতো মাপকাঠিতেও জুনে উন্নতি হবে। মন্ত্রকের যুক্তি, কৃষিই হবে আর্থিক বৃদ্ধির ভিত্তি। ফসল কেনা, সারের বিক্রি বৃদ্ধিতেও পরিষ্কার, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
আজ বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে পরিসংখ্যান মন্ত্রকও বলেছে, ক্রয়ক্ষমতার তুলনার হিসেবে চিন ও আমেরিকার পরেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। এ দেশ শুধু এই অবস্থান ধরে রাখেনি, তা পোক্ত করেছে। অর্থ মন্ত্রকের দাবি, অর্থনীতি চাঙ্গা করার পদক্ষেপেরই ফল মিলছে। যদিও অর্থনীতিবিদদের প্রশ্ন, এই দাবি কতটা বাস্তব, কতটাই বা শেয়ার বাজার চাঙ্গা করার চেষ্টা?
দিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক ফিনান্স অ্যান্ড পলিসি-র ডিরেক্টর রথীন রায় আগেই বলেছিলেন, কেন্দ্র বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কেউই অর্থনীতিকে বাঁচাতে পারবে না। বেসরকারি সংস্থাকে হাল ধরতে হবে। বাজারে চাহিদা যতটা কমেছে, সেই অভাব পূরণের মতো সরকারি খরচ বাড়েনি। উল্টে খরচে রাশ টানা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রকও জানিয়েছে, এপ্রিল-জুনের পরে জুলাই-সেপ্টেম্বরেও বাড়তি সরকারি খরচ কমবে। কোনও প্রকল্পে টাকা খরচ না-হলে তা পড়ে থাকবে না। অর্থনীতিবিদদের মতে, এই কারণেই কেন্দ্রের ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত। অথচ অর্থনীতির সঙ্কোচনের সময় ধার দিলে তা শোধ হয় না। চাহিদা বাড়াতে মানুষের হাতে টাকা দেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: টানা এতটা বৃদ্ধি এই প্রথম