অবাঞ্ছিত বার্তা রুখতে এ বার তাই আরও কড়া টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। প্রতীকী ছবি।
ব্যাঙ্ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা, বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় যুক্ত নানা সংস্থা তাদের পণ্য এবং পরিষেবার বাণিজ্যিক প্রচারের জন্য এসএমএসে বার্তা পাঠায় গ্রাহকের মোবাইলে। অনেক ক্ষেত্রে সেগুলি এড়ানোর উপায় থাকে না। কিন্তু অভিযোগ, সেই সুযোগেই ওই সব সংস্থার নামের আড়ালে বার্তা পাঠিয়ে জাল ছড়ায় প্রতারকেরা। এই ধরনের অবাঞ্ছিত বার্তা রুখতে এ বার তাই আরও কড়া টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। প্রতারকদের চিনতে সংস্থাগুলিকে বার্তাগুলির শিরোনাম (হেডার) এবং প্রতিপাদ্যের মূল কাঠামো (টেমপ্লেট) যাচাইয়ের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছে তারা। ট্রাইয়ের হুঁশিয়ারি, যাচাইয়ে দেরি করলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার হেডার, টেমপ্লেট এবং এসএমএস— সবই আটকে (ব্লক) যেতে পারে। দু’সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি পর্যালোচনার পরে নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।
যারা বাণিজ্যিক বার্তা পাঠায় তাদের মূল সংস্থা (প্রিন্সিপাল এনটিটিজ় বা পিই) বলে। তাদের নথিভুক্ত হয়ে হেডার নিতে হয়। সংখ্যা এবং অক্ষর মিলিয়ে প্রত্যেক সংস্থাকে নির্দিষ্ট হেডার তৈরি করে দেওয়া হয়। তা পাওয়ার পরে বার্তা পাঠানোর অনুমতি মেলে। বিপণন বার্তার টেমপ্লেটও সংশ্লিষ্ট টেলিকম পরিষেবা সংস্থায় নথিভুক্ত করতে হয়।
ট্রাইয়ের পর্যবেক্ষণ, কিছু পিই প্রচুর হেডার এবং টেমপ্লেট নথিভুক্ত করেছে। অনেক সময় সেগুলির অপব্যবহার করে কিছু টেলি-বিপণন সংস্থা। হেডার দেখে গ্রাহক সংস্থাকে চিহ্নিত করতে পারেন। কিন্তু জালিয়াতেরা তাতে সামান্য অদল-বদল করে বার্তা পাঠায়। গ্রাহক যদি তাঁর ব্যাঙ্ক বা বিমা সংস্থার সঠিক হেডার খেয়াল রাখেন বা সংস্থাগুলি যদি তাঁদের সচেতন করেন, তা হলে জাল সংস্থা ধরা যায়। তাই সব হেডার ও টেমপ্লেট যাচাইয় করতে বলে ট্রাই।