প্রতীকী ছবি।
আর কয়েক দিনের মধ্যেই ৫জি স্পেকট্রামের আসন্ন নিলাম নিয়ে সুপারিশ জমা দেবে টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। তার আগে ফের এই স্পেকট্রামের ন্যূনতম দাম কমানোর পক্ষে সওয়াল করল টেলি শিল্প। এর আগে ট্রাইয়ের প্রস্তাব ছিল, ৫জি ব্যান্ডের ট্রাইয়ের সুপারিশ ৩৩০০ এবং ৩৬০০ মেগাহার্ৎজ় স্পেকট্রামের ক্ষেত্রে প্রতি মেগাহার্ৎজ়ের ন্যূনতম দাম হোক ৪৯২ কোটি টাকা। যার জেরে সংস্থাগুলিকে সারা ভারত জুড়ে স্পেকট্রাম পেতে ৪৯,২০০ কোটি টাকা খরচ করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। টেলিকম সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআই-এর দাবি, এই দাম অন্তত ৮০%-৯০% কমানো উচিত। না হলে তাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকতে পারে।
এর আগে ৫জি স্পেকট্রামের দর কমানোর সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটিও। বলেছিল, দ্রুত ৫জি আনতে না-পারলে পিছিয়ে পড়বে ভারত। কিন্তু, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে স্পেকট্রামের দাম অত্যন্ত চড়া। স্পেকট্রামের দর এমন যেন না-হয়, যাতে পরে গিয়ে সামগ্রিক ভাবে টেলি শিল্পই ধাক্কা খায়। সেটা হলে দেশে ৫জি চালুর প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে। সেই সঙ্গে টেলি শিল্পে শুল্কের বিষয়টিও সময় বেঁধে গুরুত্ব দিয়ে সরকারের বিচার করা উচিত বলে মনে করে তারা। সিওএআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল এস পি কোছরেরও দাবি, ‘‘৫জি প্রযুক্তি এখনও চালু হয়নি, যা থেকে কি না একটি ত্রৈমাসিকে টাকা তোলা যাবে। বরং একটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। আবার অন্য দিকে এর জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মূলধন লগ্নিরও দরকার পড়বে।’’
সূত্রের খবর, ট্রাইয়ের সুপারিশ জমার দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে স্পেকট্রাম নিলাম হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে জুনে তা হতে পারে। এর আগে ২০২১ সালের মার্চে ৭০০, ৮০০, ৯০০, ১৮০০, ২১০০, ২৩০০, ২৫০০ মেগাহার্ৎজ় ব্যান্ডের স্পেকট্রাম নিলাম করেছিল কেন্দ্র। মোট ২৩০৮.৮০ মেগাহার্ৎজ়ের ন্যূনতম দাম ধরা হয়েছিল ৪ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু সেখানেই দরপত্র জমা পড়েছিল ৭৭,৮২০.৮১ কোটির। এ বার ট্রাই যে ৪৯২ কোটির দর সুপারিশ করেছে তা ব্রিটেনের চেয়ে সাত গুণ, অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ১৪ গুণ, স্পেন ও অস্ট্রিয়ার মতো দেশের তুলনায় যথাক্রমে ৩৫ এবং ৭০ গুণ বেশি বলে দাবি টেলি শিল্পের। ফলে অবিলম্বে এই বিষয়টি নজর দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছিল তারা।
কোছরের দাবি, ‘‘সংস্থাগুলিকে চড়া দামে স্পেকট্রাম কিনতে হলে, তাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকবে।’’ সেই সঙ্গে তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘দীর্ঘ মেয়াদের কথা মাথায় রেখে সরকারকে নিলাম, দরের বিষয়টি সামগ্রিক ভাবে দেখতে হবে। বাজার বুঝে দর নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ...আমাদের সদস্যদের মধ্যে আলোচনার পরে বলতে পারি সমস্ত ব্যান্ডের ক্ষেত্রে দর ৮০%-৯০% কমানো উচিত।’’