TRAI

টাওয়ার বসাতে ছাড়পত্র লাগে না, সতর্ক করল ট্রাই

ট্রাই স্পষ্টই জানিয়েছে, তারা এমন কোনও ছাড়পত্র দেয় না। বরং কেউ এ কথা বললে, দ্রুত পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাতে বলছে তারা।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২০ ০৩:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাড়ির ছাদে বা জমিতে টেলিকম টাওয়ার বসিয়ে ভাড়া বাবদ দু’পয়সা আয়ের চাহিদা যথেষ্ট। টেলিকম পরিষেবার মান উন্নত করতে বহু টাওয়ার বা পরিকাঠামো নির্মাণ সংস্থাই নতুন টাওয়ার বসানোর কাজে যুক্ত। অভিযোগ উঠেছে, সেই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে কিছু ভুয়ো সংস্থা ফের আর্থিক প্রতারণার ফাঁদ পাতছে। টেলিকম শিল্পের নিয়ন্ত্রক ট্রাই সূত্রের খবর, টাওয়ার বসানোর জন্য তাদের ছাড়পত্র (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট বা এনওসি) লাগবে বলে আগ্রহীদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা চাইছে সংস্থাগুলি। যদিও ট্রাই স্পষ্টই জানিয়েছে, তারা এমন কোনও ছাড়পত্র দেয় না। বরং কেউ এ কথা বললে, দ্রুত পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাতে বলছে তারা।

Advertisement

টেলিকম টাওয়ার বসায় দু’রকম সংস্থা। এক, টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডর। দুই, ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোভাইডর। এ ক্ষেত্রে কোথায় টাওয়ার বসানো জরুরি, তা মূলত ঠিক করে তারাই। তার পরে চুক্তি করে জমি-বাড়ির মালিকের সঙ্গে। কিন্তু অভিযোগ, ভুয়ো সংস্থাগুলি প্রথমে বিজ্ঞাপন দিয়ে টাওয়ার বসানোর প্রস্তাব দিচ্ছে। আগ্রহী জমি বা বাড়ি মালিকদের বিপুল ভাড়া দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। অনেকে ক্ষেত্রে পরিবারের কাউকে চাকরি দেওয়ার টোপও দেওয়া হচ্ছে। এরপর কাজ এগোনোর জন্য পুরসভা বা জেলা প্রশাসন, ট্রাই কিংবা টেলিকম দফতরের (ডট) কাছ থেকে এনওসি নেওয়ার কথা বলে ধাপে ধাপে টাকা চাইছে জমি-বাড়ির মালিকের থেকে।

ট্রাইয়ের পূর্বাঞ্চলের অ্যাডভাইজ়র সৌভিক দাস জানান, অনেকেই তাদের কাছে এই অভিযোগ নিয়ে আসছেন। চাহিদা মেনে মোটা টাকা দেওয়ার পরে সংস্থাটির কোনও হদিস মিলছে না। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। সৌভিকবাবুর দাবি, ট্রাই বা ডট এমন কোনও এনওসি জমি বা বাড়ির মালিককে দেয় না। ট্রাই কোনও ব্যক্তিগত অভিযোগ না-শুনলেও, টাওয়ার সংক্রান্ত অভিযোগ শুনবে, দাবি কর্তাদের। সঙ্গে পরামর্শ, এমন প্রস্তাবে এনওসির জন্য কেউ যেন এক টাকাও কোনও সংস্থাকে না-দেন।

Advertisement

কোন সংস্থার টাওয়ার বসানোর স্বীকৃতি রয়েছে, তার তালিকা ও তাদের সম্পর্কে তথ্য ডটের কাছে রয়েছে বলে জানাচ্ছেন টেলিকম বিশেষজ্ঞরা। ট্রাই নিজেও এ নিয়ে গ্রাহক সচেতনতা কর্মশালায় ও আলাদা ভাবে প্রচার চালাচ্ছে। নিয়ন্ত্রকের দাবি, এ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলবে তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement