কেব্ল টিভি পরিষেবায় গ্রাহকের পছন্দের চ্যানেল দেখার নতুন নিয়ম ও সেগুলির মাসুল হার নিয়ে ট্রাইয়ের নির্দেশিকার উপর মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে সংশয় দানা বেঁধেছিল শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে ওই নিয়ম পাকাপাকি ভাবে চালু হবে কি না, তা নিয়ে। এই অবস্থায় বুধবার স্থগিতাদেশ খারিজের আর্জি জানাল ট্রাই। বিচারপতি অরিন্দম সিংহের আদালতে আজ, বৃহস্পতিবার শুনানি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, তার পরেই বোঝা যাবে নতুন নিয়ম সময় মেনে শুক্রবার থেকেই চালু হবে কি না।
সম্প্রতি স্থানীয় কেব্ল অপারেটরদের (এলসিও) একাংশ চ্যানেল সংস্থা ও মাল্টি সার্ভিস অপারেটরদের (এমএসও) সঙ্গে চ্যানেলের দাম ভাগাভাগির পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি তুলে মামলা করেন। সেই মামলায় বিচারপতি সিংহ ২০১৭ সালের ৩ মার্চ জারি হওয়া ট্রাইয়ের নির্দেশিকার উপর ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
এ দিন ট্রাইয়ের তরফে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কৌশিক চন্দ স্থগিতাদেশ খারিজের আর্জি জানানোর পাশাপাশি অভিযোগ তোলেন, শুনানির সময় টেলিকম নিয়ন্ত্রক বক্তব্য পেশের সুযোগ পায়নি। তাঁর দাবি, দাম ভাগের পদ্ধতি নিয়েই এ মাসে এর্নাকুলাম হাইকোর্টে একটি মামলা খারিজ হয়েছে।
বিচারপতি সিংহ জানান, এমএসও-এলসিওরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে চ্যানেলের দামের ভাগ ঠিক করতে পারবেন কি না, আজ বিশদে তা আদালতে জানাতে হবে ট্রাই-কে। কৌশিকবাবুর অবশ্য দাবি, তাদের নির্দেশিকায় সে ব্যবস্থা আছে।
এমএসওদের পক্ষে আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য ও কৌস্তভ বাগচী এ দিন আদালতে জানান, তাঁদের মক্কেলরাও এই মামলায় যুক্ত হতে চান। আবেদন মেনে বিচারপতির নির্দেশে মামলার নথি তুলেও দেওয়া হয় তাঁদের হাতে।
সংবাদ সংস্থার খবর, ট্রাইয়ের চেয়ারম্যান আর এস শর্মা জানিয়েছেন, ১ ফেব্রুয়ারির সময়সীমার পরিবর্তন হয়নি। ডিটিএইচ পরিষেবার বহু গ্রাহক বর্তমানে চালু নিয়মে চ্যানেল দেখার জন্য বেশ কয়েক মাসের দাম আগাম মিটিয়ে রেখেছেন। সে ক্ষেত্রে যত দিনের টাকা আগাম দেওয়া আছে, চাইলে তত দিন সেই সুবিধা পেতে পারেন। নতুন নিয়মে কেউ চ্যানেল দেখতে চাইলে আগাম টাকার বাকি অংশ ফেরত দেবে ডিটিএইচ সংস্থা।