—প্রতীকী ছবি।
গত ২০১৭-১৮ সালে নজিরবিহীন লোকসান করেছিল দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। যার অঙ্ক ছুঁয়েছিল ৮৫,৩৯০ কোটি টাকা। সেখান থেকে পরের ছ’বছরে তারা শুধু ঘুরে দাঁড়াল না, সেই সঙ্গে গত অর্থবর্ষে (২০২৩-২৪) অর্জন করল নজিরবিহীন মুনাফা। সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক মিলে নিট লাভ হিসেবে ঘরে তুলেছে মোট ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা (১,০৪,৬৪৯ কোটি)।
গত আর্থিক বছরে নিট মুনাফা ৫০ শতাংশেরও বেশি বাড়িয়েছে ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (৫৭% বেড়ে ৬৩১৮ কোটি টাকা), ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র (৫৬% বেড়ে ৪০৫৫ কোটি) এবং ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক (৫৩% বেড়ে ৮০৬৩ কোটি)। ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মধ্যে ১১টিরই মুনাফা বেড়েছে। শুধু পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ড ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে তা ১৩১৩ কোটি টাকা থেকে ৫৫% কমে হয়েছে ৫৯৫ কোটি। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মোট আয়ের ৪০ শতাংশই এসেছে স্টেট ব্যাঙ্ক থেকে। তাদের নিট মুনাফা ২২% বেড়ে হয়েছে ৬১,০৭৭ কোটি টাকা। তবে মুনাফা বৃদ্ধির হারের নিরিখে শীর্ষে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক। সেখানে তা ২২৮% বেড়ে হয়েছে ৮২৪৫ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ছ’বছরে ওই সব ব্যাঙ্কের হিসাবের খাতায় এমন ভোলবদল সম্ভব হয়েছে কেন্দ্র এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের একাধিক পদক্ষেপের কারণে। যার মধ্যে রয়েছে— অনুৎপাদক সম্পদের প্রকৃত তথ্য সামনে আনতে পদক্ষেপ, ওই সম্পদ সৃষ্টির কারণগুলির সংশোধন এবং সেই খাতে বাধ্যতামূলক ভাবে বাড়তি আর্থিক সংস্থান। কিছু ক্ষেত্রে তাদের আর্থিক কর্মকাণ্ডে নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। আর্থিক হাল মজবুত করতে কয়েক বছরে একাধিক দফায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে মূলধনও জুগিয়েছে সরকার। গত পাঁচ বছরে যার পরিমাণ মোট ৩,১০,৯৯৭ কোটি টাকা। একটি ব্যাঙ্কের সঙ্গে আর একটি মিশিয়ে কমানো হয়েছে ব্যাঙ্ক পরিচালনার খরচ। যা আখেরে কাজে দিয়েছে।