মুনাফা বৃদ্ধির হারে শীর্ষে ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র (১২৬%)। তার পরে ইউকো ব্যাঙ্ক (১০০%) ও ব্যাঙ্ক অব বরোদা (৯৪%)। প্রতীকী ছবি।
কয়েক বছর আগেও আর্থিক হাল খারাপ ছিল। অনুৎপাদক সম্পদের বোঝায় হিসাবের খাতা অনেকের উদ্বেগের কারণ হয়েছিল। চড়া সুদের জমানায় পা রেখে সেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিই গত অর্থবর্ষে সম্মিলিত ভাবে ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি মুনাফার মুখ দেখেছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭-১৮ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির লোকসান হয়েছিল মোট ৮৫,৩৯০ কোটি টাকা। সেখান থেকে ২০২২-২৩ সালে মুনাফা পৌঁছেছে ১,০৪,৬৪৯ কোটি টাকায়। তার আগের বছরের চেয়ে বৃদ্ধির হার ৫৭%। এর প্রায় অর্ধেকই এসেছে স্টেট ব্যাঙ্কের হাত ধরে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুদ বাবদ আয় বৃদ্ধি এবং নানা রকম ব্যবস্থা নিয়ে অনুৎপাদক সম্পদ কমানোয় সাফল্যই ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করছে ব্যাঙ্কগুলিকে। বিশেষত, ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে অনাদায়ি ঋণ চিহ্নিত করে আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া, বকেয়া ঋণ পুনরুদ্ধার, পুঁজি জোগাড় এবং কেন্দ্রের তহবিল জোগানোর মতো সংস্কারমূলক পদক্ষেপ কাজে লেগেছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। কাজে এসেছে ডিজিটাল ব্যবস্থার প্রসার, ব্যাঙ্ক সংযুক্তি এবং প্রযুক্তির উন্নতি। ফলে রেকর্ড লোকসানের মুখ দেখা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কিং শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখেছে গুনেছে রেকর্ড মুনাফা।
পরিসংখ্যান বলছে, গত অর্থবর্ষে ১.০৪ লক্ষ কোটি টাকা মুনাফার মধ্যে ৫০,২৩২ কোটিই হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের। মুনাফা বৃদ্ধির হারে শীর্ষে ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র (১২৬%)। তার পরে ইউকো ব্যাঙ্ক (১০০%) ও ব্যাঙ্ক অব বরোদা (৯৪%)। ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মধ্যে লাভ কমেছে (২৭%) শুধু পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের। ২০১৮-এ নীরব মোদীর ঋণ কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত হয়েছিল যারা। গত অর্থবর্ষে তাদের লাভ হয়েছে ২৫০৭ কোটি।