রেলমন্ত্রীকে প্রশ্ন দেবের।
করোনা পরিস্থিতিতে রেল পরিষেবা বন্ধ হওয়ার সময় যাত্রী সংখ্যা কমাতে আরও কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় রেল। ট্রেনের ভাড়ায় দেওয়া অধিকাংশ ছাড়ই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন রেল করোনাকালের আগের নিয়মে ফিরে গেলেও বন্ধ হয়ে যাওয়া ছাড় নতুন করে চালু হয়নি। রেল সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, এমন ছাড় আর না-ও ফেরানো হতে পারে।
কিন্তু সেটাই কি সত্যি? সংসদে এমনই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী তথা অভিনেতা দেব। তাঁর মোট তিনটি প্রশ্ন ছিল। এক, কী কারণে রেল বয়স্ক যাত্রীদের টিকিটে ছাড় বন্ধ করে রেখেছে? দুই, এটা কি স্থায়ী হতে চলেছে? তিন, যদি স্থায়ী না হয় তবে কবে থেকে পুরনো ছাড়ের ব্যবস্থা ফিরবে?
দেবের এই তিন লিখিত প্রশ্নের জবাব একই সঙ্গে দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বীন বৈষ্ণো। লিখিত উত্তরে অশ্বীন জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ২০ মার্চ অতিমারি পরিস্থিতির প্রোটোকল মেনে মাত্র চারটি ক্ষেত্রে টিকিটে ছাড় চালু রাখে রেল। পরে দেখা যায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০১৯-২০২০ আর্থিক বছরের তুলনায় ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরে অতিমারির কারণে রেলের রাজস্ব আয় কম হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এখন বয়স্ক যাত্রী-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে টিকিটে ছাড় দেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। একই সঙ্গে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও রেল প্রতিবন্ধী, ১১টি ক্ষেত্রের রোগীদের এবং পড়ুয়াদের টিকিটে ছাড় দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির আগের কথা ধরলে রেলে মোট ৫৩ রকম ছাড় পাওয়া যেত। হিসাব বলছে, টিকিটে সবচেয়ে বেশি ছাড়ের সুবিধা পেতেন প্রবীণ নাগরিকরা। রেলের নিয়ম অনুযায়ী, মহিলাদের ক্ষেত্রে ৫৮ বছর ও পুরুষের ক্ষেত্রে ৬০ বছরের বেশি বয়স হলেই এই ছাড়া দেওয়া হত। মহিলাদের ক্ষেত্রে ভাড়ার ৫০ শতাংশ এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যেত। যা এখন বন্ধ রয়েছে।
কবে থেকে এই ছাড় ফের চালু হবে কিংবা আদৌ হবে কি না তা নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে। গত ডিসেম্বরে সংসদে রেলমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রবীণদের জন্য ছাড় এখনই চালু হচ্ছে না। সেই একই উত্তর মিলল মার্চ মাসেও। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি এই সিদ্ধান্ত বদলের সম্ভাবনা কম। প্রবীণদের ছাড় আগামী দিনে আর না-ও মিলতে পারে।