—প্রতীকী চিত্র।
কথা চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসে পঞ্জাবের একাংশে চালু হবে বিএসএনএলের ৪জি পরিষেবা। প্রথম পর্যায়ে ধাপে ধাপে তা যাবে হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড. উত্তরপ্রদেশ এবং হিমাচলপ্রদেশে। কলকাতা ও রাজ্যের একাংশে গ্রাহকেরা ৪জি পাবেন ডিসেম্বর থেকে। কলকাতায় এসে তারই প্রস্তুতি পর্ব খতিয়ে দেখার পরে শনিবার এ কথা জানালেন সংস্থার ডিরেক্টর (মোবাইল) সন্দীপ গোভিল।
সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছে বিএসএনএল। প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলি যখন ৫জি আনছে, তখন রাষ্ট্রায়ত্ত টেলি সংস্থায় তোড়জোড় ৪জি চালুর। কেন্দ্রের নির্দেশে তা আসছে দেশীয় প্রযুক্তিতে। রাষ্ট্রায়ত্ত গবেষণা সংস্থা সি-ডট-এর সঙ্গে জোট বেঁধে টাটাদের টিসিএস এবং তেজস প্রযুক্তি তৈরি করেছে। পরীক্ষার প্রয়োগ শেষ। এক লক্ষ বিটিএসের (টাওয়ার, অ্যান্টেনা-সহ আনুষঙ্গিক সার্বিক পরিকাঠামো) জন্য ৪জি যন্ত্র কেনার বরাত দেওয়া হয়েছে। সংস্থার বিভিন্ন শাখায় (সার্কল) ধাপে ধাপে বিলি হবে।
বিএসএনএল সূত্রের খবর, শুক্রবার কলকাতায় এসে পরিষেবা দেওয়ার মূল পরিকাঠামো যেখানে বসবে, সল্টলেকে সংস্থার সেই দফতরে বৈঠক করেন সন্দীপ। শনিবার দুপুরে দিল্লি ফেরার আগে বিভিন্ন শাখার কর্তা-আধিকারিকদের সঙ্গে টেলিফোন ভবনে আলোচনায় বসেন। টিসিএসের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। পরে সন্দীপ বলেন, ‘‘এক লক্ষ বিটিএসের যন্ত্র বণ্টন শুরু হচ্ছে। ক্যালকাটা টেলিফোন্স (বৃহত্তর কলকাতায় পরিষেবা দেয়) এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল (বাকি রাজ্যে) যথাক্রমে ২০০০ এবং ৩০০০টি পাবে নভেম্বর থেকে। রাজ্যের একাংশে ডিসেম্বরেই ৪জি চালুর আশা।’’ খবর, ছ’মাসে প্রথম পর্যায়ের বরাত জোগান শেষ হতে পারে।
পঞ্জাবের চণ্ডীগড়ে প্রথম পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছিল। তাই উত্তর ভারতের পাঁচ রাজ্যে প্রথম ধাপে ৬০০০টি বিটিএসের যন্ত্র বসানো শুরু হবে সেপ্টেম্বর থেকে, জানান সন্দীপ। সূত্রের খবর, এ রাজ্যে ৪জি চালুর প্রস্তুতি, খামতি ইত্যাদি নিয়ে কথা বলেন তিনি। দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি, বাঁকুড়া, কোচবিহার, মালদহ, রায়গঞ্জের মতো যেখানে ডেটার চাহিদা বেশি, পরিষেবা শুরুর ক্ষেত্রে সেগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ভাবনা রয়েছে। প্রয়োজনে পর্যটন ক্ষেত্রগুলিকেও তাতে রাখার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছেন সন্দীপ। তাঁর দাবি, নতুন ৪জি বিটিএসগুলিকে ৫জি পরিষেবার জন্যও উন্নীত করা হবে। ২০২৪-এর ডিসেম্বরের মধ্যে তা সম্ভব হবে বলে আশা।
গ্রাহকেরা অবশ্য আপাতত ৪জি-র জন্যই হা-পিত্যেশ করে বসে।