—ফাইল চিত্র।
বছর দেড়েক আগে ইউক্রেন থেকে সময়মতো উন্নত মানের চাকা আমদানি করতে না পারায় আটকে যেতে বসেছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উৎপাদন। কোনও মতে চাকা উড়িয়ে এনে সে যাত্রায় সমস্যা সামাল দেওয়া গেলেও পেটা লোহার উন্নত মানের চাকা কোথায় পাওয়া যায় তার খোঁজ চলতেই থাকে। ইউরোপ এবং আমেরিকার বাজারে পেটা লোহার চাকার চড়া দাম দেখে দেশেই কী ভাবে দীর্ঘ মেয়াদে চাকা বানানোর কারখানা গড়ে তোলা যায় তার জন্য উদ্যোগী হয় সরকার। ওই পরিকল্পনার আওতায় বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে রামকৃষ্ণ ফোর্জিং ও তাদের সহযোগী সংস্থা টিটাগড় ওয়াগনস নির্দিষ্ট প্রযুক্তিগত শর্ত পূরণ করে এবং সবচেয়ে কম খরচে চাকা তৈরির দরপত্র দিয়ে ওই কাজের জন্য নির্বাচিত হয়। গত ১৫ জুন দুই গোষ্ঠীর যৌথ সংস্থা আগামী ২০ বছরের মধ্যে ১২,২২৬.৫ কোটি টাকায় ১৫.৪ লক্ষ চাকা উৎপাদনের বরাত পেয়েছে।
উৎপাদন শুরুর পরে সংস্থাটি প্রথম বছরে ৪০,০০০ চাকা ভারতীয় রেলকে সরবরাহ করবে। পরের বছর তা হবে ৬০,০০০। তৃতীয় বছর থেকে ৮০,০০০ করে চাকার জোগান দেবে।
ওই সংস্থার উদ্যোগে তৈরি হওয়া উন্নত মানের চাকা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, এলএইচবি (লিঙ্ক হফম্যান বুশ) কোচ ছাড়াও ডব্লিউএজি-৯ সিরিজের লোকোমোটিভে ব্যবহার করা হবে। তিনটিই যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণের উন্নততর ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত। এর আগে ইউক্রেন ছাড়াও চেক প্রজাতন্ত্র, জার্মানি, আমেরিকা এবং চিন থেকে ওই উন্নততর প্রযুক্তিতে তৈরি চাকা আমদানি করেছে ভারত। এ বার দেশের মাটিতে চাকার উৎপাদন শুরু হলে ভারতের ওই নির্ভরতা কাটবে।