রাশিয়া ও ইউক্রেনে ভারত থেকে মূলত ওষুধ, টেলিকম যন্ত্রাংশ, লোহা ও ইস্পাত, চা, রাসায়নিক, সেরামিকের মতো রফতানি হয়। আর আমদানি হয় তেল, মুক্তো এবং দামি পাথর, প্লাস্টিক, প্লাইউড, কয়লা সার ও ভোজ্য তেলের মতো পণ্য।
ফাইল চিত্র।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ভারতের বাণিজ্য যে কিছুটা হলেও ধাক্কা খাবে, সে কথা বলছে সব মহলই। বিশেষ করে কন্টেনারের অভাব ও জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধির কারণে পণ্য পাঠাতে সমস্যা, কাঁচামালের দাম বাড়ায় বিদেশের বাজারে বরাত মেটানো নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাণিজ্য শিল্প। আর এ বার কেন্দ্র জানাল, কিছু কিছু পণ্যের রফতানিতে এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার লোকসভায় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, আমদানি-রফতানি ধাক্কা খাওয়ার বিষয়টি সরকার জানে। অত্যাবশ্যক পণ্য দেশে আনা নিয়ে প্রতিনিয়ত সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনাও করছে। পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলে তবেই যুদ্ধের পরে কী হবে, সেটা বোঝা সম্ভব হবে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনে ভারত থেকে মূলত ওষুধ, টেলিকম যন্ত্রাংশ, লোহা ও ইস্পাত, চা, রাসায়নিক, সেরামিকের মতো রফতানি হয়। আর আমদানি হয় তেল, মুক্তো এবং দামি পাথর, প্লাস্টিক, প্লাইউড, কয়লা সার ও ভোজ্য তেলের মতো পণ্য। গয়াল বলেন, শিল্প মহলের থেকে পাওয়া খবর অনুসারে যুদ্ধের জেরে ওষুধ, টেলিকম যন্ত্রাংশ, চা, কফি এবং সামুদ্রিক পণ্যের রফতানি ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে সেই সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে পণ্য রফতানি প্রায় বন্ধ হওয়ার সুযোগও ভারত নিতে পারে বলে মনে করছে সরকার। বিশেষত বিশ্বে গমের চাহিদার প্রায় ২৫ শতাংশই আসে এই দুই দেশ থেকে। সেই বাজার ধরার সুযোগ ভারতের সামনে রয়েছে বলে জানান গয়াল। বলেন, নতুন বাণিজ্য নীতি তৈরির কাজও করছে কেন্দ্র।