—প্রতীকী চিত্র।
ডলারের সাপেক্ষে শুক্রবার আরও তলিয়ে গেল টাকার দাম। এ দিন মাঝে এক সময়ে এক ডলার ছোঁয় ৮৩.৪৯ টাকা। যা রেকর্ড। পরে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ায় ওঠে টাকার দর। দিনের শেষে ডলার থামে ৮৩.২৮ টাকায়। যা বৃহস্পতিবারের থেকে ১ পয়সা কম।
সূত্রের খবর, শেয়ার সূচকের উত্থান এবং বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়া তো বটেই। সেই সঙ্গে আজ দিনের মাঝে বিদেশি মুদ্রা বাজারে লেনদেন বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ হওয়াও টাকার দামকে টেনে নামিয়েছে। এর জেরে ডলার ৮৩.৫০ টাকার কাছে পৌঁছে যায়। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। মানুষের ভুলে নাকি ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা জানতে চেয়েছে তারা।
পরিসংখ্যান বলছে, শুক্রবার ব্রেন্ট ক্রুড ফের ছাড়িয়েছে ৮০ ডলারের গণ্ডি। তার উপরে রবিবার নতুন সম্বৎ শুরুর দিনে সন্ধ্যাবেলা মুরত ট্রেডিং-এর আগে শুক্রবারই ছিল শেষ লেনদেন। আজ শুরুতে সূচক পড়লেও, দিনের শেষে সেনসেক্স ৭২.৪৮ পয়েন্ট উঠে থামে ৬৪,৯০৪.৬৮ অঙ্কে। নিফ্টি ৩০.০৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৯,৪২৫.৩৫ অঙ্কে।
২০৭৯ সম্বতে সেনসেক্স বেড়েছে ৫০৭৩.০২ পয়েন্ট, নিফ্টি ১৬৯৪.৬ পয়েন্ট। বিএসই-র লগ্নিকারীদের সম্পদ ৪৩.৮১ লক্ষ কোটি টাকা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের অবস্থার দিকে তাকিয়ে চলেছে দেশের শেয়ার সূচক। চিন্তা টাকার দরও। নতুন বছরে বাজার তথা টাকা কোন পথে হাঁটে, সে দিকেই নজর সকলের।