১ ডলার দিন শেষ করল ৮৩ টাকায়। প্রতীকী ছবি।
মাঝে মাস আড়াইয়ের ব্যবধান। অক্টোবরের পরে নতুন বছরের শুরুতেই ফের তলানিতে নামল টাকার দাম। মঙ্গলবার প্রতি ডলারের দর বাড়ল ২২ পয়সা। ১ ডলার দিন শেষ করল ৮৩ টাকায়। এর আগে ১৯ অক্টোবরে ৮৩ টাকার মুখ দেখেছিল ডলার। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার মুদ্রাটির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার হাত ধরে সেটি শক্তিশালী হয়েছে। বিদেশি সংস্থাগুলির শেয়ার বাজার থেকে পুঁজি তুলে নেওয়াও টেনে নামিয়েছে টাকার দরকে।
এইচডিএফসি সিকিউরিটিজ়ের বিশ্লেষক দিলীপ পারমারের মতে, আমদানিকারীদের মধ্যে ডলারের চাহিদা দেখা গিয়েছে। ফলে তাঁরা সেটি কিনতে ছুটেছেন। তার উপরে বুধবার আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভ অর্থনীতি নিয়ে কী বার্তা দেয়, সে দিকেও চোখ রয়েছে লগ্নিকারীদের। যার প্রভাব পড়েছে টাকার দরে। একই কারণে ২০২৩-এর শুরুতে অপেক্ষাকৃত কম গতিতে এগোচ্ছে শেয়ার বাজারও। আজ সেনসেক্স উঠেছে ১২৬.৪১ পয়েন্ট, নিফ্টি ৩৫.১০ পয়েন্ট। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি শেয়ার বিক্রি করেছে ৬২৮ কোটি টাকার বেশি।
সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সাপেক্ষে ডলারের যে দাম, তাতে টাকার দর আরও পতনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এমনকি, স্বল্প মেয়াদে ডলার ৮৩.৫-৮৩.৭ টাকা হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন পারমার। আর কোটাক সিকিউরিটিজ়ের কর্তা অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ফেড রিজ়ার্ভের বার্তা দিকে তাকিয়ে থাকা বাজারে ডলার থাকতে পারে ৮২.৭০ থেকে ৮৩.২৫ টাকার মধ্যে।