প্রতীকী ছবি
শুল্ক-যুদ্ধের সমাধানের লক্ষ্যে জানুয়ারিতে প্রাথমিক চুক্তি হতে পারে বলে জানিয়েছে আমেরিকা-চিন দু’পক্ষই। রবিবার থেকে ১৬,০০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে নতুন করে ১৫% আমদানি শুল্ক বসানোর কথা থাকলেও, সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে ওয়াশিংটন। এ দিন ঠিক একই পথে হেঁটে বার্তা দিল বেজিংও। জানাল, আমেরিকার পণ্যের উপরে পাল্টা শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা স্থগিত রাখছে তারাও। আমেরিকার গাড়ির উপরে ২৫% এবং গাড়ির যন্ত্রাংশের উপরে ৫% হারে শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করেছিল তারা।
বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির মধ্যে শুল্ক-যুদ্ধের বয়স এখন ২১ মাস। দু’পক্ষের শুল্ক ও পাল্টা শুল্কের বিরূপ প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে। সমাধানের লক্ষ্যে দু’পক্ষের বাণিজ্য প্রতিনিধিরা অন্তত ১২ দফা বৈঠক করলেও তখন তা ফলপ্রসূ হয়নি। দু’মাস আগে থেকে নতুন ভাবে শুরু হয় সমাধানের চেষ্টা। গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, প্রাথমিক চুক্তি নিয়ে আমেরিকা ও চিন সহমত হয়েছে। বেজিং তাতে সমর্থন জানায়। আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধির দফতর জানিয়েছে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দু’পক্ষের মধ্যে ৮৬ পাতার চুক্তি সই হতে পারে। তার কয়েক দিন আগে নতুন ভাবে আর শুল্ক না-চাপিয়ে বার্তা দিল দু’পক্ষই।
চিন জানিয়েছে, কয়েকটি মার্কিন পণ্যের উপর থেকে অতিরিক্ত শুল্ক কয়েকটি পর্যায়ে প্রত্যাহার করবে তারা। সেই সঙ্গে আগামী দু’বছরে তারা অতিরিক্ত ২০,০০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্য ও পরিষেবা কিনবে। ফলে চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি অনেকটাই কমবে আমেরিকার। তাদের মেধাসম্পদের উপরে প্রভাব না খাটানোরও আশ্বাস দিয়েছে চিন।