সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
এখনও পর্যন্ত ১০ জন ব্যবসায়ীকে পলাতক আর্থিক অপরাধী হিসেবে ঘোষণা করেছে আদালত। আজ রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এই তথ্য জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরি বলেন, এই তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছেন বিজয় মাল্য এবং নীরব মোদী। ২০১৮ সালে পলাতক আর্থিক অপরাধী আইন প্রণয়ন করেছিল মোদী সরকার। তার পর থেকে ১৯ জনকে ওই তকমা দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে ইডি। তার ভিত্তিতে যে ১০ জনকে ওই তকমা দেওয়া হয়েছে তাঁদের আর্থিক জালিয়াতির মোট অঙ্ক ৪০,০০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৫,১১৩.০২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যসভায় অপর অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভাগবত কারাড এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে জানান, মেহুল চোক্সীর গীতাঞ্জলি জেমস, এবিজি শিপইয়ার্ড-সহ ৫০টি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি সংস্থার কাছে ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির ৮৭,২৯৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি ১০,৫৭,৩২৬ কোটি টাকার ঋণ হিসাবের খাতা থেকে মুছেছে।
আজ কেন্দ্র জানিয়েছে, গত অর্থবর্ষের শেষে কেন্দ্রের ঋণের অঙ্ক ছিল ১৫৫.৬ লক্ষ কোটি টাকা। যা জিডিপি-র ৫৭.১%।