—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের ফলের দিকে আপাতত তাকিয়ে রয়েছে শেয়ার বাজার। তার পরেই সূচকের নজর যে দিকে, তা হল জুনের প্রথম সপ্তাহের ঋণনীতি। পারিপার্শিক যাবতীয় শর্ত ঠিক পথে এগোলে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সে ব্যাপারে জল্পনা আপাতত তুঙ্গে। এই অবস্থায় শীর্ষ ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের তৈরি গবেষণাপত্রে দাবি, ঋণনীতির শেষ দিনে সুদ সংক্রান্ত ঘোষণা বাজারের উপরে যে প্রভাব ফেলে, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রভাব ফেলে পূর্ববর্তী জল্পনা। আবার নিয়ন্ত্রণ বিধি বা নগদ সংক্রান্ত যে সমস্ত সিদ্ধান্ত রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক নেয়, শেয়ার সূচকের উপরে তার প্রভাবও কম নয়।
সম্প্রতি শীর্ষ ব্যাঙ্কের আর্থিক ও নীতি সংক্রান্ত গবেষণা বিভাগের আধিকারিক ময়াঙ্ক গুপ্ত, অমিত পওয়ার, সত্যম কুমার, অভিনন্দন বোর্দ এবং সুব্রতকুমার শীট ‘একুইটি মার্কেট অ্যান্ড মানিটারি পলিসি সারপ্রাইসের’ শীর্ষক গবেষণাপত্রটি তৈরি করেছেন। অন্যান্য প্রতিবেদনের মতো এ ক্ষেত্রেও শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, গবেষণার মতামত লেখকদের নিজস্ব।
গবেষণাপত্রে লেখা হয়েছে, অর্থনীতির অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ঋণনীতি নিয়ে বাজারের প্রত্যাশা ক্রমাগত বদলাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ঋণনীতি ঘোষণার দিন সুদের হার যা-ই হোক না কেন, শেয়ার বাজারে তার প্রভাব অপেক্ষাকৃত কম হয়। বস্তুত, সুদ ঘোষণার দিনে সূচকের যে উত্থান-পতন দেখা যায়, তার উপরে পূর্ববর্তী জল্পনা এবং বাস্তব, দুইয়েরই প্রভাব থাকে। প্রভাব ফেলে নিয়ন্ত্রণ বিধি সংক্রান্ত অন্যান্য সিদ্ধান্তও। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, জুনের ঋণনীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন বাজারের উত্থান-পতনে তার প্রভাবও রয়েছে।