নবান্ন। —ফাইল চিত্র।
বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের (বিএসকে) মাধ্যমেও জমি, বাড়ি-সহ সম্পত্তি নথিভুক্তির (রেজিস্ট্রেশন) পরিষেবা চালু করেছে রাজ্য। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, তাতে আগ্রহ বাড়ছে ক্রেতাদের। এর ফলে রাজ্যের আয় বৃদ্ধির পথও তৈরি হচ্ছে।
যে কোনও সম্পত্তি কেনাবেচার পরে সেটির নথিভুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক। এ জন্য সম্পত্তির মূল্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ অর্থ ক্রেতাকে জমা দিতে হয় সরকারের কাছে। ফলে এটি সরকারের আয়েরও অন্যতম পথ।
প্রশাসনের আধিকারিকদের একাংশের দাবি, প্রত্যন্ত এলাকায় এ জন্য রেজিস্ট্রেশন কার্যালয় পর্যন্ত যেতে অনেকেই ততটা আগ্রহী হন না। দালালদের দৌরাত্ম্য থাকায় অতিরিক্ত খরচের আশঙ্কাও থাকে ক্রেতামহলে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে অন্যান্য পরিষেবার সঙ্গে রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন ও স্ট্যাম্প রেভিনিউ বিভাগ যুক্ত হওয়ায় সেখানে আবদেনপত্র জমা করা, ‘অ্যাসেসমেন্ট স্লিপ’ বার করে স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন খরচ জমা দেওয়ার পরিষেবাও মিলছে। সেখানে দালালেরা না থাকায় অতিরিক্ত খরচের বোঝাও চাপছে না উপভোক্তার উপরে।
সরকারের হিসাবে, গত জানুয়ারি থেকে বিএসকে-র মাধ্যমে প্রায় ১২,০০০ সম্পত্তির নথিভুক্তি হয়েছে। সেখানেই ৩ কোটি টাকার বেশি অর্থ জমা পড়েছে সরকারের ঘরে। এখন কোনও উপভোক্তা পুরনো দলিলের তথ্য জানতে চাইলে (সার্চিং) সেটাও এই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে করা যাবে বলে জানাচ্ছে অর্থ দফতর।