চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।
চলতি অর্থবর্ষে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিবহণ দফতর ২৮৯০.২৭ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে বলে বাজেটে দাবি করেছে রাজ্য। ওই খাতে ১৫ শতাংশের বেশি আয় বেড়েছে বলে সূত্রের খবর। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ওই আয় আরও কয়েক’শ কোটি টাকা বাড়তে পারে। এ দিকে বিপদের সময়ে যাত্রীদের সাহায্য করতে ‘ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস’ আগেই চালু করা হয়েছিল। যার সাহায্যে গাড়ির অবস্থান জানা যায়। বাজেট ঘোষণায় জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ বাণিজ্যিক যানে ওই ব্যবস্থা চালু করা গিয়েছে।
বাজেট পেশ করে অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, গাড়ির নথিভুক্তকরণ ও চালকদের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে চিপ-যুক্ত স্মার্ট কার্ড চালু করা হয়েছে। পেট্রাপোল, হিলি, চ্যাংরাবান্দা, ফুলবাড়ির মতো আন্তর্জাতিক সীমান্তে ট্রাকের জন্য সুসংহত চেকপোস্ট চালু করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা, বহরমপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা, দার্জিলিংয়ের কার্শিয়াং, বাঁকুড়ার ঝিলিমিলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলা এবং জোকায় বাসস্ট্যান্ডের পরিকাঠামো উন্নয়ন ছাড়া ধূপগুড়িতে নতুন ট্রাক টার্মিনাস তৈরি করা হচ্ছে।
চন্দ্রিমা জানিয়েছেন, বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় রাজ্য হুগলি নদিতে জলপথ পরিবহণের পরিকাঠামো সংস্কারে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। ওই প্রকল্পের আওতায় ২৯টি আধুনিক জেটি, ৪০টি জায়গায় ইলেকট্রনিক স্মার্ট গেট এবং ২২টি উন্নত ভেসেল তৈরি করা হচ্ছে। মোটর ভেহিকেল আইনে কলকাতা পুলিশ, রাজ্য পুলিশ এবং পরিবহণ দফতরের দায়ের করা মামলার জরিমানা আদায়ের ক্ষেত্রে ‘সংযোগ’ নামে একটি পোর্টাল চালু করার কথাও জানিয়েছে রাজ্য।