কেন্দ্রীয় সংস্থায় ২৫% পণ্যের বরাত ছোট শিল্পের জন্য বড় ভরসা। প্রতীকী ছবি।
অতিমারিতে কার্যত নাভিশ্বাস উঠেছিল ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের (এমএসএমই)। সেই ধাক্কা পুরোপুরি সামলানোর আগেই বিশ্ব জুড়ে ফের মন্দার আশঙ্কা নতুন সংশয়ের বীজ বুনছে। এই অবস্থায় আসন্ন বাজেটের দিকে তাকিয়ে রয়েছে তারা। এই শিল্পে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থা হিসেবে শ্রেণি বিন্যাসের পদ্ধতি সংশোধন থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি, জিএসটি সরলীকরণ-সহ বিভিন্ন সংস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের কাছে আর্জি জানিয়েছে তাদের অন্যতম সংগঠন ফিসমে, ফসমি ও ফ্যাকসি।
কেন্দ্রীয় সংস্থায় ২৫% পণ্যের বরাত ছোট শিল্পের জন্য বড় ভরসা। ফিসমের বার্তা, এ ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টির খরচ এবং তা বজায় রাখা নিয়ে অনেক সংস্থাই সমস্যায় পড়ে। তার বদলে শিয়োরিটি বন্ডের (তৃতীয় কোনও পক্ষের নিশ্চয়তা) ব্যবহার দ্রুত কার্যকর করা জরুরি। তাদের আরও বক্তব্য, কোনও সংস্থাকে ঋণ দেওয়ার আগে আর্থিক ঝুঁকি খতিয়ে দেখে ব্যাঙ্কগুলি। ছোট শিল্পের ক্ষেত্রে তাই চালু মূল্যায়ন ব্যবস্থা সংশোধন করা হোক। তার জন্য গঠন করা হোক রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক ও শিল্পমহলকে নিয়ে যৌথ কমিটি।
আগে যন্ত্রাংশ ও কারখানায় লগ্নির অঙ্কের ভিত্তিতে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস হলেও অতিমারির সময়ে ব্যবসার অঙ্ককেও (টার্নওভার) শর্তে জোড়া হয়েছে। ফ্যাকসির বক্তব্য, এতে আদতে সমস্যা বাড়ছে। কারণ, বিক্রি হওয়া পণ্যের পরিমাণ প্রায় একই থাকলেও কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির জেরে অনেক সময়ে ব্যবসার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। তার ফলে ক্ষুদ্র সংস্থা ছোট সংস্থায় কিংবা ছোট সংস্থা মাঝারি সংস্থায় পরিণত হতে পারে। ফলে তাদের অনেকেই বাড়তি সুবিধা হারায়। আবার ব্যবসার অঙ্ক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম হওয়ায় ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানও ঋণের ক্ষেত্রে নিশ্চিত হতে পারে না। তুলনায় পুরনো মাপকাঠিতে স্থিরতা বেশি বলে দাবি ফ্যাকসির।
আবার ফসমির দাবি, ক্রেডিট লিঙ্কড ক্যাপিটাল সাবসিডি স্কিম (ঋণে ভর্তুকি প্রকল্প), সংশোধিত প্রযুক্তি উন্নয়ন তহবিল প্রকল্পগুলি ফের চালু হোক। তাদের মতে, ছোট শিল্পের স্বার্থে জিএসটির কিছু হার, নিয়ম ও পদ্ধতি সংশোধন করা প্রয়োজন। অতিমারিতে দুর্বল হয়ে পড়া সংস্থাকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সাহায্যের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থারও আর্জিজানিয়েছে তারা।