৫০০ বর্গ মিটারের (৭.৪৭৫ কাঠা) থেকে বড় জমি বা আটটি ফ্ল্যাটের (অ্যাপার্টমেন্ট) থেকে বড় আবাসন রেরার আওতায় পড়ে। প্রতীকী ছবি।
যে মাপের জমি বা আবাসনে কেন্দ্রের আবাসন নিয়ন্ত্রণ আইন (রেরা) কার্যকর হয়, রাজ্য তার থেকেও ছোটগুলিকে এর আওতায় আনতে চায়। আবাসন দফতরের যুক্তি, এর ফলে সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে ছোট আবাসন কিংবা জমির ক্রেতারা নির্মাতাদের বিরুদ্ধে চুক্তি খেলাপের অভিযোগ করলে সেগুলি খতিয়ে দেখা যাবে। উপকৃত হবেন সাধারণ রোজগেরে মানুষ। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ রেরা কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট উদ্বোধনে এসে এ কথা জানালেন রাজ্যের আবাসনমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
এখন ৫০০ বর্গ মিটারের (৭.৪৭৫ কাঠা) থেকে বড় জমি বা আটটি ফ্ল্যাটের (অ্যাপার্টমেন্ট) থেকে বড় আবাসন রেরার আওতায় পড়ে। মন্ত্রীর দাবি, ‘‘অথচ অনেক সময়ই বেশি সমস্যার মুখে পড়েন ছোট আবাসন বা প্লটের (জমি) ক্রেতারা। তাই ন্যূনতম ওই সীমাকে কমিয়ে তিন কাঠার বেশি জমি এবং ছ’টির বেশি ফ্ল্যাটের আবাসনেও বলবৎ করতে চাই। প্রস্তাব উপর মহলে পাঠানো হয়েছে।’’ সূত্রের খবর, আবাসন আইন কেন্দ্রের তৈরি হলেও রাজ্য চাইলে তার শর্ত সংশোধন করতে পারে।
এ দিন অরূপবাবু বলেন, রেরা আইনের আওতায় আসা সমস্ত নির্মাতা বা সংস্থাকে নথিভুক্ত হতে হবে এতে। প্রকল্পের সব তথ্য ওয়েবসাইটে দিতে হবে। প্রকল্পের অগ্রগতিও জানাতে হবে সেখানে। কোনও অভিযোগের ক্ষেত্রে রেরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সন্তুষ্ট না হলে নির্মাতারা রেরা আপিল ট্রাইবুনালে যেতে পারবে। সূত্রের খবর, ট্রাইবুনাল গড়ার প্রক্রিয়া চলছে।
রেরা সূত্র জানিয়েছে, গত নভেম্বর থেকে কলকাতা ও সংলগ্ন দুই ২৪ পরগনার ৩৮টি অভিযোগ পেয়েছে তারা। সময়ে ফ্ল্যাট না পাওয়া থেকে নানা ধরনের চুক্তিভঙ্গ রয়েছে তাতে। ২৩টির এক দফা শুনানি হয়েছে। বাকিগুলির প্রথম পর্যায়ের শুনানি দিন দুয়েকের মধ্যে হওয়ার আশা।
অসাধু প্রোমোটার এবং নির্মাতাদের দৌরাত্ম্য রুখতে ২০১৬-তে কেন্দ্র রেরা এনেছিল। কিন্তু রাজ্য তা মানেনি। প্রায় এক বছর পরে তারা আনে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল হাউসিং ইন্ডাস্ট্রি রেগুলেশন অ্যাক্ট’ (হিরা)। পরে সুপ্রিম কোর্ট হিরাকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিলে রেরা চালুর জন্য রাজ্য বছর দেড়েক আগে বিধি চালু করে। তার কর্তৃপক্ষ তৈরি হয় গত বছরের শেষে। এত দিন প্রথাগত পদ্ধতিতে বা ই-মেলে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন আবাসন ক্রেতারা। এ বার থেকে জানানো যাবে ওয়েবসাইটে।