—প্রতীকী চিত্র।
এত দিন ভারতের বাজারে শেয়ার কেনা বা বেচার ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে দাম মেটানোর বাধ্যবাধকতা ছিল না। চাইলে ক্রেতা বা বিক্রেতা এক দিন সময় নিতে পারতেন (পরিভাষায় ‘টি+১’)। দাম দিলে হস্তান্তর হত শেয়ার। সেই নিয়মই বদলাচ্ছে। আজ থেকে দুই শেয়ার বাজারে (বিএসই এবং এনএসই) চালু হচ্ছে লেনদেনের দিন ‘সেট্লমেন্ট’-এর নতুন ব্যবস্থা। যেখানে শেয়ার কেনাবেচার দিনেই দাম মেটাতে হবে। তৎক্ষণাৎ হবে শেয়ার হস্তান্তর। সেট্লমেন্ট মানে, দাম মেটানো এবং শেয়ার হস্তান্তরের প্রক্রিয়া। অর্থাৎ লগ্নিকারী শেয়ার কিনলে তিনি সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাকে তার দাম দেন, শেয়ার আসে তাঁর ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্টে। শেয়ার বেচলে তাঁকে দাম মেটান ক্রেতা। দিনের দিন সেট্লমেন্টের ব্যবস্থাটির নাম ‘টি+০’।
বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি জানিয়েছে, এটি পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হচ্ছে ২৫টি সংস্থার শেয়ার লেনদেনে। তবে আপাতত বহাল থাকবে পুরনো নিয়মে পরের দিন দাম মেটানোর সুবিধাও। চিনের পরে ভারতই দ্বিতীয় দেশ, যারা শেয়ার বাজারে ‘টি+০’ সেট্লমেন্ট চালু করল। যদিও নতুন ব্যবস্থা শুধু নগদ লেনদেনের বাজারে প্রযোজ্য। আগাম লেনদেনে বরাবরের মতো মাসের শেষ বৃহস্পতিবারই সেট্লমেন্ট হবে। ‘টি+০’ সেট্লমেন্টে লেনদেন হবে সকাল সাড়ে ন’টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। সূত্রের খবর, যেহেতু পুরনো ব্যবস্থাটিও থাকছে, তাই লেনদেনের সময় লগ্নিকারীকে আগাম জানাতে হবে তিনি কোন ব্যবস্থা চান।
সম্পদ পরিচালনাকারী ভ্যালু স্টকের এমডি শৈলেশ সরাফ বলেন, “এতে শেয়ারের দাম না মেটানোর মতো কোনও সমস্যাই থাকবে না। লেনদেন সহজ হবে।’’ বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর দাবি, “ভারতের মূলধনী বাজার বিশ্বে আরও আকর্ষণীয় হল। চটজলদি শেয়ারের দাম হাতে আসায় চাইলে দ্রুত তা দিয়ে ফের শেয়ার কেনা যাবে। সার্বিক ভাবে বাজারে লেনদেনের বহর বাড়তে পারে।’’ তবে শরাফের মতে, বাজারে নথিভুক্ত (বিএসইতে ৫০০০টি, এনএসই-তে ২০০০টি) সব সংস্থায় ‘টি+০’ চালু করতে সময় লাগবে।