তবে অন্য অংশের মতে, যত দিন যাবে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রযুক্তি ততই উন্নত হবে। তৈরি হবে পরিকাঠামো। সংস্থাগুলিও প্রথাগত জ্বালানি থেকে সরে আসতে আগ্রহী। ফলে আগামী দিনে এই গাড়ির চাহিদা তথা বিক্রি আরও বাড়বে।
প্রতীকী ছবি।
রেকর্ড তেলের দর এবং সেমিকনডাক্টরের অভাবে গত অর্থবর্ষের পুরোটা জুড়েই ধাক্কা খেয়েছে পেট্রল-ডিজ়েলের মতো প্রথাগত জ্বালানি চালিত গাড়ি উৎপাদন ও বিক্রি। সেখানেই নিত্যনতুন মডেল বাজারে আসায় এবং জ্বালানি খরচ যুঝতে ক্রেতারা পা বাড়িয়েছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার দিকে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ সচেতনতাও যার একটা কারণ। এর হাত ধরে ২০২১-২২ সালে দেশে তিনগুণের বেশি বেড়েছে এই গাড়ির বিক্রি। পেট্রল-ডিজ়েল গাড়ির চেয়ে চাহিদায় অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও ডিলারদের সংগঠন ফাডার হিসাব বলছে, সব ধরনের গাড়ি মিলিয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে ৪,২৯,২১৭টি। এর মধ্যে অধিকাংশই দুই এবং তিন চাকার গাড়ি। তার আগের বছর বিক্রি হয়েছিল ১,৩৪,৮২১টি।
গত ক’বছর ধরেই বিকল্প জ্বালানি এবং বৈদ্যুতিক গাড়িতে জোর দেওয়ার কথা বলে আসছে মোদী সরকার। কিন্তু সেখানেই বার বার প্রশ্ন উঠছে, সারা দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ দেওয়া-সহ বিভিন্ন ধরনের পরিকাঠামোর অভাবের কথা। কিছু সংস্থা চার্জিং স্টেশন চালু করলেও, এখনও তা অপ্রতুল। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই অবস্থায় বিক্রি বৃদ্ধির ছবি উৎসাহ দেবে এ ক্ষেত্রে লগ্নিতে আগ্রহী সংস্থাগুলিকে।
ফাডার পরিসংখ্যান বলছে, গত অর্থবর্ষে দেশে ১৭,৮০২টি বৈদ্যুতিক যাত্রী গাড়ি বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে ১৫,১৯৮টিই টাটা মোটরসের। তার পরে রয়েছে এমজি মোটর ইন্ডিয়া, মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা এবং হুন্ডাই। আগের বছরে যাত্রী গাড়ি বিক্রি হয় ছিল ৪৯৮৪টি। দু’চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে রয়েছে হিরো ইলেকট্রিক, বেচেছে ৬৫,৩০৩টি গাড়ি। ওলা ইলেকট্রিক বিক্রি করেছে ১৪,৩৭১টি। সব মিলিয়ে এই সময়ে দু’চাকার বিক্রি তার আগের বছরের ৪১,০৪৬টির থেকে পাঁচ গুণ বেড়ে হয়েছে ২,৩১,৩৩৮টি। একই ভাবে তিন চাকার বিক্রিও দ্বিগুণের বেশি দাঁড়িয়েছে। পৌঁছেছে ১,৭৭,৮৭৪টিতে। আর বৈদ্যুতিক বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে ২২০৩টি। ২০২০-২১ সালে ছিল ৪০০টি।
তবে অনেকে বলছেন, করোনার মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে যেখানে তার আগের বছরের চেয়ে বিক্রি কমেছিল, সেখানে সেই নিচু ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে এখনই একে অতটা উৎসাহজনক বলা যাবে কি না, তাতে সন্দেহ থাকছে। বিশেষত, সে সময়ে লকডাউন চলায় বছরের অনেকটা জুড়ে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় বিপুল কমেছিল তিন চাকার বিক্রি।
তবে অন্য অংশের মতে, যত দিন যাবে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রযুক্তি ততই উন্নত হবে। তৈরি হবে পরিকাঠামো। সংস্থাগুলিও প্রথাগত জ্বালানি থেকে সরে আসতে আগ্রহী। ফলে আগামী দিনে এই গাড়ির চাহিদা তথা বিক্রি আরও বাড়বে।