—প্রতীকী চিত্র।
সম্প্রতি সরকারি পরিসংখ্যানে বলেছে, সেপ্টেম্বরের পরে অক্টোবরেও দেশে আরও কমেছে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার। যা সব মহলের কাছেই স্বস্তির খবর। চলতি মাসে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতিবেদনেও সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সেই সঙ্গে দাবি, এখনও কঠিন সময় থেকে বার হয়ে আসা যায়নি। খুচরো মূল্যবৃদ্ধি মাথা নামিয়ে খরচের বোঝা কমিয়েছে বটে। তবে তাকে পুরো নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে এখনও অনেকটা পথ যাওয়া বাকি। পরিসংখ্যানে মূল্যবৃদ্ধির হার কমতে দেখার পরে বহু সাধারণ মানুষও অভিযোগ করে বলছেন, বাজারে কিছু খাদ্যপণ্যের দাম কখনও কখনও একটু নামলেও পরক্ষণেই ফের চড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ। কলকাতার বাজারে বৃহস্পতিবার এক কেজি আলু ছিল ২৫ টাকা। পেঁয়াজ বিকিয়েছে ৬০ টাকায়। তাঁদের দাবি, ব্যাগ হাতে বাজারমুখো হওয়া এখনও যথেষ্ট বিড়ম্বনার। কারণ খরচের আঁচ স্বস্তি দেওয়ার মতো নীচে নামেনি। ঠিক যে ভাবে রান্নার গ্যাস ২০০ টাকা কমলেও হাজার টাকার কাছাকাছি থাকায় সংসার খরচে সুরাহা তেমন কিছু হয়নি। বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় নানা পণ্যের দরও চড়েই আছে।
তবে আগামী বছর লোকসভা ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে বিশেষত খাদ্যপণ্যের দাম কমাতে বদ্ধ পরিকর মোদী সরকার। পেঁয়াজ থেকে চাল, গম সব কিছুরই জোগান বাড়ানোর চেষ্টা করছে কখনও রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বসিয়ে তো কখনও আমদানি শুল্ক ছেঁটে বা রফতানি শুল্ক বাড়িয়ে। সরকারি মজুত থেকে খোলা বাজারে সস্তায় বিক্রি করা হচ্ছে চাল, গম, পেঁয়াজ, টোম্যাটোর মতো খাদ্যপণ্য। বৃহস্পতিবার খাদ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এই দফায় মজুত ভান্ডার থেকে ২.৮৪ লক্ষ টন গম ও ৫৮৩০ টন চাল খোলা বাজারে ছাড়া হয়েছে।
এ দিন নিবন্ধে দেশের আর্থিক পরস্থিতি নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শীর্ষ ব্যাঙ্ক বলেছে, ‘‘ঋণনীতি এবং জোগান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যৌথ পদক্ষেপে ভর করে মূল্যবৃদ্ধির হার নেমেছে। তবে এখনও কঠিন সময় থেকে বার হয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। বহু পথ যাওয়া বাকি। তবুও ২০২২-২৩ সালের গড় মূল্যবৃদ্ধি ৬.৭% ও গত জুলাই-অগস্টের ৭.১ শতাংশের নিরিখে গত সেপ্টেম্বরে তার ৫ শতাংশে এবং অক্টোবরে ৪.৯% শতাংশে নেমে আসা খানিকটা হলেও স্বস্তির। তবে এই নিবন্ধ রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের মত নয়, তা-ও জানানো হয়েছে।