ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, অনেকেই পরিকল্পনা মতো গয়না কিনতে পারছেন না এখন। কেউ বরাদ্দ টাকা কমাচ্ছেন। কেউ আবার পুরনো গয়না ভাঙছেন। প্রতীকী ছবি।
আশঙ্কা ছিলই। তা সত্যি হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে সোমবার রেকর্ডের দোরগোড়ায় পৌঁছল পাকা সোনার (২৪ ক্যারাট) দাম। কলকাতার বাজারে ১০ গ্রাম হল ৫৬,৯৫০ টাকা (জিএসটি বাদে)। এর আগে ২০২০ সালের ৭ অগস্ট তা রেকর্ড গড়েছিল ৫৬,৯৬০ টাকায় উঠে। তবে পাকা সোনা চড়তে থাকায় এ দিনই নজির গড়ে ফেলেছে ১০ গ্রাম গয়নার সোনার (২২ ক্যারাট) দাম। এই প্রথম তা ছুঁয়েছে ৫৪,০৫০ টাকা।
গয়না ব্যবসায়ীদের দাবি, পাকা সোনা বাড়লে গয়না তৈরির সোনা চড়বেই। যে কারণে ২০২০-র ৭ অগস্ট গয়নার সোনাও ৫৪,০৪০ টাকায় উঠে নজির গড়ে। এ দিন তার থেকে দাম হয় ১০ টাকা বেশি। লাগাতার বাড়তে থাকা দামে মাথায় হাত ক্রেতাদের। বিশেষত আসন্ন বিয়ের মরসুমের জন্য গয়না কিনতে হবে যাঁদের। ব্যবসায়ীরাও সন্ত্রস্ত। স্বর্ণশিল্প মহল বলছে, বহু ছোট দোকানের ইতিমধ্যেই কাহিল অবস্থা। বিয়ের কেনাকাটা সারতে আসা সাধারণ ক্রেতারাও বিপাকে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, অনেকেই পরিকল্পনা মতো গয়না কিনতে পারছেন না এখন। কেউ বরাদ্দ টাকা কমাচ্ছেন। কেউ আবার পুরনো গয়না ভাঙছেন। কাউকে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে হালকা গয়না কিনেই। এমন চলতে থাকলে ফের বেশ কিছু ছোট-মাঝারি দোকানে তালা ঝুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্তও বলছেন, ‘‘এত দামে শহরে এবং গ্রামে গয়নার বিক্রি কমতে বাধ্য। ফলে বহু কারিগর বেকার হবেন। যা বেকারত্ব বৃদ্ধিতে ইন্ধন জোগাবে।’’ সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, বিশ্ব বাজারে সোনার দাম বাড়ায় দেশে তার আমদানির খরচ বাড়ছে। টাকার নিরিখে ডলারের চড়া দাম সেই খরচকে আরও উপরে ঠেলে তুলছে। সব মিলিয়ে চড়ছে হলুদ ধাতু। অনির্বাণের আশঙ্কা, সোনা আমদানির বর্ধিত খরচ দেশের বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারেও চাপ বাড়াতে পারে।