দামি ও বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের চাহিদা পৌঁছে গিয়েছে মোট চাহিদার ২০ শতাংশে। প্রতীকী ছবি।
অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে ধাপে ধাপে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের আবাসন ক্ষেত্র। করোনার সময়ে বাড়ি থেকে কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবাসনের চাহিদাও বেড়েছে। গত এক বছরে গৃহঋণের সুদ বাড়লেও উপদেষ্টা সংস্থা অ্যানারকের হিসাব, গত অর্থবর্ষে ফ্ল্যাট বিক্রির পাশাপাশি তার মোট মূল্যের হিসাবেও তৈরি হয়েছে রেকর্ড। সেই সঙ্গে দামি ও বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের চাহিদা পৌঁছে গিয়েছে মোট চাহিদার ২০ শতাংশে।
অ্যানারকের চেয়ারম্যান অনুজ পুরীর দাবি, অগ্রগতির পথেই রয়েছে দেশের এই শিল্প। তাঁর কথায়, ‘‘২০২২-২৩ অর্থবর্ষে প্রথম শ্রেণির সাতটি শহরে বিক্রি হয়েছে ৩.৭৯ লক্ষ ফ্ল্যাট। যা নতুন রেকর্ড। আগের বছরের চেয়ে ৩৬% বেশি। সম্পত্তির আর্থিক মূল্য ৩.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২১-২২ সালের চেয়ে বেড়েছে ২২%।’’ সংস্থা সূত্রের খবর, নতুন নজির এটিও। মুম্বই মেট্রোপলিটন রিজিয়ন (এমএমআর), দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকা, বেঙ্গালুরু, পুণে, হায়দরাবাদ, চেন্নাই ও কলকাতায় সমীক্ষা চালিয়েছিল সংস্থাটি। তাতে দেখা গিয়েছে, গত অর্থবর্ষে শহরগুলিতে ব্যবসা বৃদ্ধির হার ছিল ২৪%-৭৭%।
উল্লেখযোগ্য বিষয় দামি ও বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের (দাম ১.৫ কোটি টাকার বেশি) চাহিদা বৃদ্ধি। সমীক্ষা বলছে, ২০১৯-২০ সালে মোট বিক্রি হওয়া ফ্ল্যাটের মধ্যে এমন ফ্ল্যাট ছিল ৭%। অতিমারির সময়ে ২০২০-২১ সালে তা ৫ শতাংশে নামে। ২০২১-২২ সালে বেড়ে হয় ১০%। আর ২০২২-২৩ দ্বিগুণ (২০%)। অ্যানারকের মতে, ভবিষ্যতের চাহিদার কথায় মাথায় রেখে এমন ফ্ল্যাটের বিক্রি বাড়ছে। এ ছাড়াও বড় জায়গার প্রয়োজনীয়তা, প্রযুক্তি নির্ভর আবাসনের চাহিদা বৃদ্ধি এবং মূলধনী করের ক্ষেত্রে ছাড়ের বাড়তি যে সুযোগ ছিল, গত কেন্দ্রীয় বাজেটে ২০২২-২৩ সালের পর থেকে তাতে ঊর্ধ্বসীমা বাঁধার প্রস্তাবও দামি ফ্ল্যাট কেনায় ইন্ধন জুগিয়েছে।
আর এক সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্ক জানিয়েছে, জানুয়ারি-মার্চে আবাসনের দাম বৃদ্ধির নিরিখে বিশ্বের ৪৬টি শহরের মধ্যে মুম্বইয়ের স্থান ষষ্ঠ। এর বাইরে ভারত থেকে রয়েছে বেঙ্গালুরু (১৬) এবং নয়াদিল্লি (২২)। শুরুতে রয়েছে দুবাই, মিয়ামি এবং জ়ুরিখ।