—প্রতীকী চিত্র।
গত বছর থেকেই বিশ্ব বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ির লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির দাম কমছে। অবশেষে ভারতের বাজারে তার প্রভাব পড়ল। মঙ্গলবার টাটা মোটরসের শাখা সংস্থা টাটা প্যাসেঞ্জার ইলেকট্রিক মোবিলিটি (টিপিইএম) জানিয়েছে, দু’টি মডেলের গাড়ির দাম সর্বোচ্চ ১.২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কমিয়েছে তারা। অন্যান্য সংস্থাও এই পদক্ষেপকে অনুসরণ করে কি না, সে দিকেই এখন নজর বাজারের। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ব্যাটারির দামের পাশাপাশি তার আমদানি শুল্কও কমেছে। এর প্রভাবে ব্যাটারি আমদানি বাড়লে দেশে তার উৎপাদনের প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে।
জ্বালানির আমদানি ও দূষণ কমাতে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এই পথে প্রধান বাধা বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম। তার মূল কারণ গাড়ির ব্যাটারির খরচ। তবে সম্প্রতি বিশ্ব বাজারে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির দাম কমেছে। এ দিন টিপিইএম জানিয়েছে, নেক্সন ইভি-র দাম ১.২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কমিয়েছে তারা। টিয়াগো ইভি কমেছে ৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত। সংস্থার চিফ কমার্শিয়াল অফিসার বিবেক শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘ব্যাটারির খরচ কমার সুবিধা ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই গাড়ির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত।’’
তবে বণিকসভা বেঙ্গল চেম্বারের আর্থিক ও কর সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান বিবেক জালানের ব্যাখ্যা, শুধু বিশ্ব বাজারে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির দাম কমেনি। ভারতে তার আমদানি শুল্কও ২০% থেকে ৫ শতাংশে নামানো হয়েছে। এর ফলে দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি তৈরির উদ্যোগ ধাক্কা খেতে পারে। সে কারণে ব্যাটারি তৈরির কাঁচামালের আমদানি শুল্কও কমাতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন সুসংহত নীতি।