কলকাতায় ১০ গ্রাম গয়নার সোনার (২২ ক্যারাট) দাম দাঁড়িয়েছে ৫৫,০৫০ টাকা। হলমার্ক পৌঁছেছে ৫৫,৯০০ টাকায়। প্রতীকী ছবি।
বাগ মানছে না সোনার দাম। গত বছরের শেষ দিনেও যা ছিল ৫৫,৭৫০ টাকা, জানুয়ারির সপ্তাহ তিনেক পার করে মঙ্গলবার সেই ১০ গ্রাম পাকা সোনা (২৪ ক্যারাট) পৌঁছে গিয়েছে ৫৮,০০০ টাকায়। জিএসটি যোগ করলে তা আরও বেশি, ৬০ হাজারের দোরগোড়ায় (৫৯,৭৪০ টাকা)। এই অবস্থায় ক্রেতারা তো বটেই, ব্যবসায়ী মহলেও আতঙ্ক বাড়ছে, আর কত দূর যাবে সোনার দাম! বিশেষত বিশ্ব বাজারে হলুদ ধাতুটির দর যেখানে দাঁড়িয়েছে, তা দেশে দরকে নামতে দেবে না বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। ফলে আগামী দিনে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সামনে আরও দুর্ভোগ অপেক্ষা করে রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে এ বছরের প্রথম বিয়ের মরসুম। ফলে যে সমস্ত ক্রেতা গয়না কিনতে দোকানে আসছেন, তাঁরা কার্যত নিরুপায় হয়েই আসছেন। বাকিরা উধাও। যাঁদের রেস্ত একটু বেশি, তাঁদের হাত ধরে বড় এবং মাঝারি দোকানগুলিতে খদ্দের কিছুটা থাকলেও মাছি তাড়াচ্ছে ছোট দোকান। ফলে চরম আর্থিক দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন গয়নার কারিগরেরা। উল্লেখ্য, কলকাতায় এ দিন ১০ গ্রাম গয়নার সোনার (২২ ক্যারাট) দামও দাঁড়িয়েছে ৫৫,০৫০ টাকা। হলমার্ক পৌঁছেছে ৫৫,৯০০ টাকায়।
তার উপরে পরের সপ্তাহে ভারতে বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী। সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যে আমেরিকায় জিডিপি-র হার প্রকাশ হবে। সেখানে রয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভের বৈঠকও। এই সবের দিকে চোখ রেখে লগ্নিকারীরা সোনা কিনছেন। ফলে তার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সোনার দাম আরও বেশ খানিকটা বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি সমর দে। তাঁর মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে দর যে জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে আগামী কয়েক দিনে ভারতে সোনা আরও চড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে ৬০,০০০ টাকাও ছুঁতে পারে পাকা সোনা। তা সংশ্লিষ্ট সব মহলের সমস্যা বাড়াবে বলে ধারণা তাঁদের।