প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের নতুন দিশা দিতে বরাবরই সমকালীন থেকেছে ‘ইনফোকম’। অস্থির-অনিশ্চিত-জটিল-অস্পষ্ট বিশ্বে জয় ছিনিয়ে আনার কৌশল ছিল গতবারের প্রধান বিষয়। সেই অস্থিরতা, জটিলতা, অনিশ্চয়তাকে এ বছর আরও বহুগুণ বাড়িয়েছে করোনার আক্রমণ। আর তার সঙ্গে জুঝতে জুঝতে তৈরি হচ্ছে নতুন সুযোগের সূত্র। সেই প্রেক্ষাপটে ইনফোকম ২০২০-র প্রতিপাদ্য তাই ‘দ্য নেক্সট নর্মাল’। সম্মেলন তার ১৯ বছরে এসে আগামী দিনের পরিস্থিতি ও তার নিরিখে এগিয়ে চলার দিশা খুঁজবে আগামিকাল, ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের আলাপ-আলোচনা আর তর্ক-বিতর্কের মধ্যে দিয়ে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০০২ সাল থেকে শুরু হয়েছিল তথ্যপ্রযুক্তির এই রাজসূয় যজ্ঞ। তবে করোনার প্রেক্ষিতে এবিপি গোষ্ঠীর এই সম্মেলন এ বার ‘ভার্চুয়াল’। তা দেখা যাবে ইউটিউব চ্যানেলেও (INFOCOM Connect)। শিল্প মহল ও সরকারি কর্তা মিলিয়ে ৩৫ জন বক্তার পাশাপাশি ৫০০ জন প্রতিনিধি যোগ দেবেন এই অনলাইন সম্মেলনে।
মূলত তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলন হিসেবে শুরু হলেও, ইনফোকম এখন শুধু সেই দুনিয়ায় নতুন দিগন্তের খোঁজে আটকে নেই। বরং প্রযুক্তি, উদ্ভাবনী ভাবনা, ব্যবসায়িক কৌশলের বার্তা দেওয়া ও মেলবন্ধননের সার্বিক চালচিত্র হয়ে উঠেছে। তাই বৃহত্তর দুনিয়ার নজর থাকে এই মঞ্চের দিকে।
এ বার অবশ্য গোটা বিশ্বের পরিস্থিতিটাই ভিন্ন। করোনায় সব ওলটপালট। সময়কে তিন ভাগে ভেঙেছে অতিমারি— করোনা-পূর্ব, করোনাকালীন ও করোনা-উত্তর পৃথিবী। তৃতীয় পর্বে জীবন, যাপন, অর্থনীতি যে দিকে মোড় নেবে, সেখানে বদলাবে অনেক কিছু। তবে আশঙ্কার পাশাপাশি যে সুযোগের হাতিছানিও থাকবে সেখানে, সেটা বোঝাতেই ইনফোকমের বিষয় ‘দ্য নেক্সট নর্মাল’। স্বাভাবিক হওয়ার পরবর্তী প্রক্রিয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই পরিস্থিতিতে চাহিদার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে যে সংস্থা নিজেকে বদলাবে, লড়াইয়ে কয়েক কদম এগোবে তারা। আর সে জন্যই দরকার হবে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী ভাবনা, নতুন গাঁটছড়া, সহনশীলতা এবং কৌশল নিয়ে স্বচ্ছ ধারণার। যার ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করবে ইনফোকম।
কেন্দ্র ও রাজ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্প ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইনফোকম আয়োজনে সহায়তা করছে। সহযোগী রাজ্য ছত্তীসগঢ়। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও সার্ক গোষ্ঠীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।