—প্রতীকী চিত্র।
বাজেটে শিল্পের তকমা দেওয়া, গৃহঋণে সুদ কমানোর পথ তৈরির সওয়াল করল আবাসন ক্ষেত্র। সঙ্গে তাদের দাবি সাধ্যের আবাসনের সংজ্ঞা বদল, এক জানলা ব্যবস্থা তৈরিরও। মঙ্গলবার এই বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
আবাসন সংগঠন নারেডকো-র জাতীয় সভাপতি জি হরি বাবু বলেন, শিল্পের তকমা পেলে কয়েক হাজার ছোট-মাঝারি সংস্থা ভালমতো ব্যবসা করতে পারবে। না হলে মূলধন, ঋণ ও জমির অভাবে পাট গোটাতে হবে। আবাসন সংস্থার কর্ণধারদের দাবি, এই ক্ষেত্রে বহু মানুষ কাজ পান। তাই তাকে নিয়মে বাধতে পরিকাঠামো শিল্পের মধ্যে আনা যেতে পারে। তাঁদের বক্তব্য, এতে সহজে ও কম সুদে ঋণ-সহ নানা সুবিধা মিলবে। বাড়বে ফ্ল্যাট-বাড়ি বিক্রিও।
সাধ্যের আবাসনের সংজ্ঞা বদলের দাবি জানিয়েছেন এই ক্ষেত্রের সংগঠন ক্রেডাই ওয়েস্ট বেঙ্গলের সভাপতি সুশীল মোহতা। তাঁর মন্তব্য, ‘‘যে ভাবে কাঁচামালের দাম বাড়ছে, তাতে এই ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো প্রয়োজন।’’ পাশাপাশি, তাঁর ও হিরানন্দানি গোষ্ঠীর কর্ণধার নিরঞ্জন হিরানন্দানির দাবি, গৃহঋণের সুদে আয়কর ছাড়ের সীমা কমপক্ষে ৫ লক্ষ টাকা, ৪০ লক্ষ পর্যন্ত ঋণে ক্রেডিট গ্যারান্টি প্রকল্প চালু ও দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী লাভকরের সুবিধা পাওয়ার সময় ১২ মাস করা হোক।
বেঙ্গল সৃষ্টি-র সিইও সাহিল শাহরিয়া, সত্ত্ব-র এমডি বিজয় আগরওয়াল আবার বলছেন, সব ছাড়পত্র পেতে এক জানলা ব্যবস্থা জরুরি। না হলে বাড়ে প্রকল্পের সময় ও খরচ। বিজয়ের প্রস্তাব, জিএসটি ও আয়করে ছাড় বৃদ্ধির সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও মধ্যবিত্তদের আবাসনের জন্যও ঘোষণা হোক।