তিন বছর আগে চালু হয় আইপিপিবি-র পরিষেবা। প্রতীকী ছবি
সেভিংস এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্টের মতো ব্যাঙ্কিং পরিষেবা তো ছিলই। সেই সঙ্গে আরও নানা ধরনের আর্থিক এবং আধার সংক্রান্ত পরিষেবা চালু করেছে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক (আইপিপিবি)। সব কিছু মিলে চার্জ ও কমিশন খাতে আয়ের নিরিখে গত অর্থবর্ষে (২০২১-২২) দেশে এই প্রথম শীর্ষ স্থান দখল করল আইপিপিবি-র ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল (পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও আন্দামান-নিকোবরকে নিয়ে)। মার্চের পুরো হিসাব চূড়ান্ত না হলেও, ডাক বিভাগের প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ৫০ কোটি টাকা রোজগার করেছে এই সার্কল। যা লক্ষ্যমাত্রার থেকে প্রায় ১৮৫% বেশি।
তিন বছর আগে চালু হয় আইপিপিবি-র পরিষেবা। আধারের ভিত্তিতে টাকা তোলা, জমা দেওয়া (এইপিএস), আধারের সঙ্গে মোবাইল এবং ই-মেল জোড়া (লিঙ্ক), গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়া (ডোর স্টেপ ব্যাঙ্কিং), প্রবীণদের ডিজিটাল লাইফ সার্টফিকেট জমা দেওয়া, বিমা বিক্রির মতো বিভিন্ন পরিষেবা দিয়ে আয় করে তারা। সূত্রের দাবি, গত অর্থবর্ষে ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ২৬.৭৭ কোটি টাকা। বাস্তবে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত হয়েছে ৪৯.৪৬ কোটি টাকা।
গত অর্থবর্ষে আইপিপিবিগুলি দেশে মোট ৪৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। চলতি অর্থবর্ষের লক্ষ্যমাত্রা ১০০০ কোটি। সেটা ছুঁতে পারলে ব্যবসায় না-লাভ না-ক্ষতির জায়গায় পৌঁছতে পারবে তারা।
তখন স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করার ছাড়পত্র পাওয়ারও যোগ্য হবে ডাকঘর পেমেন্টস ব্যাঙ্কগুলি।