Excise Department

মদের জোগান বাধাহীন রাখতে পুলিশকে আর্জি

পুলিশ মহলের একাংশের বক্তব্য, আবগারি দফতর জানিয়েছে দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ছট-সহ উৎসবের দিনগুলিতে শহরে পণ্যবাহী গাড়ির চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে ঠিকই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৩৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

রাজ্যের ঝুলিতে বাজেটে প্রস্তাবিত লক্ষ্যের তুলনায় বেশি আবগারি রাজস্ব আসবে বলে আশা করছেন অর্থ দফতরের কর্তারা। তবে মদ বিক্রেতাদের দাবি, সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে উৎসবের মরসুমে পুলিশের যান নিয়ন্ত্রণ নীতি। যার জেরে আটকে যাচ্ছে জোগান। অথচ এই সময়েই আবগারি পণ্য বা মদ সব থেকে বেশি বিক্রি হয় বলে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকা জরুরি। পুলিশ সূত্রে খবর, মদের গাড়িগুলির যাত্রাপথ বাধাহীন রাখতে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে আবেদন করেছে সংশ্লিষ্ট দফতর।

Advertisement

পুলিশ মহলের একাংশের বক্তব্য, আবগারি দফতর জানিয়েছে দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ছট-সহ উৎসবের দিনগুলিতে শহরে পণ্যবাহী গাড়ির চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে ঠিকই। তবে এতে মদের গাড়িগুলিও সহজে শহরে ঢুকতে পারছে না। অথচ আবগারির সমস্ত ডিপো খোলা। বাড়তি চাহিদার কারণে খুচরো বিক্রেতারা বেশি মদ তুলতে চান। কিন্তু সরবরাহই আটকে গেলে বিক্রি ধাক্কা খাবে।

বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, লাইসেন্সপ্রাপ্ত আইনি মদের জোগান কমলে অবৈধ বিক্রি বাড়বে। জনস্বাস্থ্যের দিক থেকে যা ক্ষতিকর। সরকারের রাজস্বও মার খাবে। তাই আবগারি দফতরের অনুমোদিত গাড়িগুলিকে শহরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া জরুরি। যেটা পুলিশই পারে।

Advertisement

মদ উৎপাদক এবং বিক্রেতা মহলের অনেকে মনে করাচ্ছেন, ই-আবগারির মাধ্যমে গোটা ব্যবস্থাপনা অনলাইন হওয়ার পরে মদের গুণমানেও বাড়তি জোর পড়েছে। লেনদেন অনলাইনে হওয়ায় ফাঁকফোকড় আটকে কার্যত বন্ধ হয়েছে টাকার নয়ছয়। আবার উৎপাদক সরবরাহকারীকে যে দামে মদ বিক্রি করছে, তার প্রতিটা স্তরে কর ধার্য থাকায় দাম না বাড়িয়েও আয় বাড়ছে রাজ্যের। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, গত এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত আবগারি খাতে প্রায় ৬০০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে রাজ্যে। পুরো অর্থবর্ষে তা ছুঁতে পারে ১৯,০০০ কোটি। তবে লক্ষ্য পূরণ অনেকাংশে নির্ভর করছে উৎসবে বিক্রির উপর। যা মসৃণ হতে পারে জোগান বাধাহীন হলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement