সেনসেক্স নেমে এল ৫৯ হাজারের ঘরে। ২৮ অক্টোবর তাকে শেষ বার এই ঘরে দেখা গিয়েছিল। পতনের চতুর্থ দিনে সূচক নেমেছে ৯৮০.৯৩ পয়েন্ট। প্রতীকী ছবি।
কোভিড ছড়ানোর আশঙ্কা কাঁপুনি ধরাল শেয়ার বাজারে। তিন দিন টানা পড়ার পরে শুক্রবার কার্যত ধস নামল সেখানে। সেনসেক্স নেমে এল ৫৯ হাজারের ঘরে। ২৮ অক্টোবর তাকে শেষ বার এই ঘরে দেখা গিয়েছিল। পতনের চতুর্থ দিনে সূচক নেমেছে ৯৮০.৯৩ পয়েন্ট। থেমেছে ৫৯,৮৪৫.২৯ অঙ্কে। চার দিনে লগ্নিকারীরা হারিয়েছেন ১৫.৭৮ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাঝে-মধ্যে উঠলেও সার্বিক ভাবে বাজারের পতন চলবে। কারণ মন্দা ও কোভিডের জোড়া আশঙ্কা দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে লগ্নিকারীদের। এ দিন নিফ্টি ৩২০.৫৫ পড়ে শেষ হয় ১৭,৮০৬.৮০-তে। চলতি সপ্তাহে সেনসেক্স মোট খুইয়েছে ১৪৯২.৫২ পয়েন্ট, নিফ্টি ৪৬২.২০।
বিশ্ব জুড়েই ছড়িয়েছে কোভিডের আতঙ্ক। বেশ কিছু দেশে সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতেও জারি হয়েছে সতর্কতা। তার উপর পতনে ইন্ধন জুগিয়েছে আমেরিকার জিডিপি বৃদ্ধি। বিশেষজ্ঞদের মতে, টানা সুদ বৃদ্ধির পরেও আর্থিক বৃদ্ধি সে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভকে ভরসা জোগাবে। এর পরে মূল্যবৃদ্ধিকে আরও নামাতে চড়া হারে সুদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া জারি রাখতে আর দ্বিধা করবে না তারা। বিশ্ব জুড়ে বাজারে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে এই আশঙ্কা।
বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দী বলেন, “কোভিডের প্রকোপ ছড়ালে তা বাজারের পক্ষে দুশ্চিন্তার কারণ হবে। তবে আশার কথা, ভারতের আর্থিক অবস্থা বহু দেশের তুলনায় ভাল। তাই সমস্যা কিছুটা স্তিমিত হলেইসূচক দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে।’’
ভারতে বাজার পড়েছে সার্বিক ভাবে। বড় সংস্থার সূচক সেনসেক্সের সঙ্গে মাঝারি মাপের সংস্থার শেয়ার সূচক ৩.৪০% এবং ছোট সংস্থার সূচক ৪.১১% নামে। শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির অবশ্য মিশ্র ভূমিকা ছিল। চার দিনে তারা ১৮২৫.৯৫ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করলেও, কিনেছে ১৩৮৪.৫৭ কোটির। তবে শুক্রবার তাদের বিক্রির অঙ্ক ছিল ৭০৬.৮৪ কোটি। মিউচুয়াল ফান্ড-সহ দেশীয় আর্থিক সংস্থাগুলি অবশ্য লগ্নি করছে লাগাতার। চার দিনে তারা শেয়ার কিনেছে ৭৮৫৭.৬৮ কোটির। শুধু শুক্রবারই ৩৩৯৮.৯৮ কোটি টাকার। যা বাজারকে আরও বড় পতনের হাত থেকে রক্ষা করেছে।