ই-ওয়ে বিলে ধন্দ দূরের চেষ্টা

এ ক্ষেত্রে জিএসটি ইডব্লিউবি-০১ ফর্মের পার্ট-‘বি’ ভর্তি করতে হবে পরিবহণকারী সংস্থাকে। একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি ধাপে ধাপে বুঝিয়ে দিয়েছে মন্ত্রক।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি।

পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি)-এর আওতায় আগামী কাল নতুন অর্থবর্ষের প্রথম দিন থেকে চালু হচ্ছে ই-ওয়ে বিল। বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে ৫০ হাজার কোটি টাকার পণ্য পরিবহণে লাগবে ওই বিল। তার ঠিক আগে শনিবার এ ব্যাপারে কিছু বিষয় স্পষ্ট করল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, পরিবহণকারী যে দিন প্রথম এই সংক্রান্ত ফর্ম বিশদে পূরণ করবেন, সে দিন থেকেই ই-ওয়ে বিলটি বৈধ বলে ধরা হবে।

Advertisement

এ ক্ষেত্রে জিএসটি ইডব্লিউবি-০১ ফর্মের পার্ট-‘বি’ ভর্তি করতে হবে পরিবহণকারী সংস্থাকে। একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি ধাপে ধাপে বুঝিয়ে দিয়েছে মন্ত্রক।

আর একটি উদাহরণ দিয়ে অর্থ মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে, একাধিক রাজ্যের তিনটি শহর ঘুরে দু’টি পরিবহণ সংস্থা মারফত পণ্য পাঠাতে হলেও একটি ই-ওয়ে বিলই লাগবে।

Advertisement

জিএসটি পরিষদের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী ১০০ কিলোমিটারের কম পথ পাড়ি দিলে বিল বৈধ থাকার মেয়াদ এক দিন। তার পরে প্রতি ১০০ কিলোমিটারের জন্য বৈধতা বাড়বে এক দিন করে।

ফর্ম ভরলে বৈধতা

• ধরা যাক, পণ্য সরবরাহকারী শুক্রবার ইডব্লিউবি-০১ ফর্মের পার্ট ‘এ’ পূরণ করেছেন

• পরিবহণকারী সোমবার মালপত্র নিয়ে রওনা দিতে চান

• সে দিনই পার্ট ‘বি’ ভরলেন

• ই-ওয়ে বিলের বৈধতা শুরু হবে সোমবার থেকেই

কর ফাঁকি ঠেকানোর লক্ষ্যেই জিএসটি-র আওতায় ই-ওয়ে বিল চালু করতে চায় কেন্দ্র।

পরিবহণ সংস্থা

• ধরা যাক, শহর ‘ক’ থেকে শহর ‘গ’ পর্যন্ত পণ্য পাঠাতে সরবরাহকারী ইডব্লিউবি-০১ ফর্মের পার্ট ‘এ’ ভর্তি করলেন

• পরিবহণকারী নিযুক্ত হল ‘চ’

• ‘চ’ সংস্থা ‘ক’ শহর ‘খ’ পর্যন্ত পণ্য পাঠাল পার্ট ‘বি’ পূরণ করে

• ‘খ’ থেকে ‘গ’ শহরে পণ্য পাঠানোর দায়িত্ব দেওয়া হল পরিবহণ সংস্থা ‘ছ’-কে

• এ বার ‘ছ’ সংস্থা পার্ট ‘বি’-তে তার অংশ ভর্তি করল

• পণ্য পাঠানো হল শহর ‘খ’ থেকে ’গ’ পর্যন্ত

• ই-ওয়ে বিল এ ক্ষেত্রেও তৈরি হবে একটিই

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই তা চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিলের ভিত্তিতে পারমিট তৈরি করায় কারিগরি অসুবিধা দেখা দেওয়ায় তা করা যায়নি। বিভিন্ন রাজ্যও তাদের নিজস্ব ই-ওয়ে বিল সংশ্লিষ্ট পোর্টালে আনতে চাইলে সেটি অতিরিক্ত চাপের কারণে তা বসে যায়। তার পরে চূড়ান্ত ভাবে সময়সীমা ধরা হয়েছে ১ এপ্রিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement