প্রতীকী ছবি।
প্রতি বছর কৃষিতে ব্যবহারযোগ্য প্রায় ১০ লক্ষ টন ইউরিয়ার শিল্প ক্ষেত্রে চলে যাওয়া আটকাতে কঠোর হল কেন্দ্র। এক সরকারি কর্তা জানান, এর জেরে ভর্তুকি খাতে বছরে প্রায় ৬০০০ কোটি টাকা লোকসান হয় সরকারের। তা রুখতেই এই পদক্ষেপ। যার আওতায় গত আড়াই মাসে বিভিন্ন গোপন তদন্ত চালিয়ে ১০০ কোটি টাকার লোকসান চিহ্নিত করা গিয়েছে।
বর্তমানে কৃষকদের ব্যাগ পিছু ২৬৬ টাকা দরে সার জোগায় কেন্দ্র। এর জন্য প্রতি ব্যাগের হিসাবে ২৭০০ টাকা ভর্তুকি দেয় তারা। সার মন্ত্রকের এক কর্তা জানান, বছরে শিল্পে ১৩-১৪ লক্ষ টন বিশেষ মানের ইউরিয়া লাগে। অথচ ভারতে উৎপাদন হয় তার ১.৫ লক্ষ টন। সংস্থাগুলি আমদানি করে ২ লক্ষ টন। যা চাহিদার এক পঞ্চমাংশ। সেই হিসাবে প্রতি বছর প্রায় ১০ লক্ষ টন কৃষিতে ব্যবহারযোগ্য ইউরিয়া শিল্প ক্ষেত্রে যাচ্ছে বলে কেন্দ্রের অনুমান। কিছুটা যায় পড়শি দেশগুলিতেও। উল্লেখ্য, আঠা, প্লাইউড, দুগ্ধজাত পণ্য, গবাদি পশুর খাদ্য-সহ বিভিন্ন শিল্পে ইউরিয়া ব্যবহার হয়।
ওই কর্তার কথায়, কৃষিতে ব্যবহারের ইউরিয়ায় নিমের পরত থাকে। তা রাসায়নিক পদ্ধতিতে তুলে ফেলে সার শিল্পে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হয়। এই ব্যবস্থা আটকাতে সার মন্ত্রক পদক্ষেপ করেছে। এই ঘটনায় জড়িত ইউনিট, কালোবাজারি, মজুতদারি এবং নিম্নমানের ইউরিয়া সরবরাহে যুক্ত সংস্থায় অতর্কিতে হানা দিতে তৈরি করা হয়েছে ‘ফার্টিলাইজ়ার ফ্লাইং স্কোয়াড’ নামে দল। তল্লাশিতে খোঁজ মিলেছে জিএসটি ফাঁকির। উদ্ধার হয়েছে তার একাংশ অর্থ ও বহু সারের বস্তা। আটটি রাজ্যে ৩৮টি সার কারখানাতেও হানা দিয়েছে দলটি।