ছবি সংগৃহীত।
ভারত পেট্রোলিয়ামে (বিপিসিএল) নিজেদের অংশীদারি বিক্রির জন্য আগ্রহপত্র জমার সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়াল কেন্দ্র। বুধবার সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সম্ভাব্য ক্রেতাদের অনুরোধে এবং করোনা সমস্যার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত। এই নিয়ে মোট তিন বার আগ্রহপত্র জমার সময়সীমা পিছনো হল। আগ্রহপত্র জমার পরে শুরু হবে আর্থিক দরপত্র জমার প্রক্রিয়া।
চলতি অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণ থেকে অন্তত ২.১ লক্ষ কোটি টাকা রাজকোষে ভরতে চায় কেন্দ্র। এর মধ্যে বিপিসিএলে সরকারের পুরো অংশীদারি (৫২.৯৮%) বিক্রি করা গেলে উঠবে প্রায় ৫২,০০০ কোটি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, করোনার আবহে বিশ্বের প্রায় সব সংস্থাই আর্থিক ভাবে ধাক্কা খেয়েছে। সে কারণেই বাধ্য হয়ে বার বার পিছিয়ে দিতে হচ্ছে অংশীদারি বিক্রির প্রক্রিয়া। এ দিনই এক সূত্র মারফত খবর, সম্ভাব্য আগ্রহীদের মধ্যে পিছু হটেছে ব্রিটেনের তেল সংস্থা বিপি এবং ফ্রান্সের টোটাল। বিপিসিএলের শোধনাগারের অবস্থান এবং ভারতের ‘কঠিন’ শ্রম আইন নিয়ে আপত্তি রয়েছে তাদের। তবে দৌড়ে রয়েছে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়, রাশিয়ার রসনেফ্ট এবং সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা সৌদি অ্যারামকো। কিন্তু প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায়েই দুই শক্তিশালী সংস্থা পিছু হঠলে তা সরকারের পক্ষে উদ্বেগের বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের।
অংশীদারি হস্তান্তর হয়ে গেলে বিপিসিএলের ক্রেতা পাবে মহারাষ্ট্র, কেরল এবং মধ্যপ্রদেশে সংস্থার তিন শোধনাগার। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্র ও কেরলের শোধনাগারের অবস্থান নিয়ে সমস্যা রয়েছে বিপি ও টোটালের। কারণ, সেখানে বাড়তি জমি অধিগ্রহণ করে শোধনাগারের সম্প্রসারণ কার্যত অসম্ভব। এর পাশাপাশি, ভারতের শ্রম আইনকেও ‘কঠোর’ বলে দাবি তাদের। এই মুহূর্তে বিপিসিএলে কর্মী প্রায় ২০,০০০। বেসরকারিকরণের আগে সেই সংখ্যা কমাতে ইতিমধ্যেই স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প এনেছেন সংস্থা কর্তৃপক্ষ। সংস্থা সূত্রের খবর, তাতে খুব বেশি হলে ১০% কর্মী কমবে। কিন্তু বিপি বা টোটালের মতো সংস্থা চাইছে আরও কম কর্মী নিয়ে কাজ করতে।