গাড়ি মেলায় শাহরুখ খান। ছবি: পিটিআই।
চোখে ধাঁধা লাগানো প্যাভিলিয়নে চেনা গাড়ি থেকে ভবিষ্যতের ভাবনার গাড়ির উজ্জ্বল উপস্থিতি। তারই মধ্যে আলাদা ভাবে নজর কেড়ে নিলেন তিনি। সাবলীল ঢঙে তুলে ধরলেন পেট্রল-ডিজ়েল গাড়ি থেকে বৈদ্যুতিকে পাড়ি দেওয়ার পথ। ‘‘পেট্রল পাম্প থেকে পাওয়ার প্লাগে পৌঁছে গিয়েছি আমরা’’, বললেন শাহরুখ খান। বেঁধে দিলেন সর্বভারতীয় গাড়ি মেলার (অটো এক্সপো) মূল ভাবনা। বুধবার যা শুরু হল গ্রেটার নয়ডায়। সেই বৃত্তকে বিস্তৃত করে গাড়ি সংস্থাগুলির কর্তারা জানালেন, শুধু বৈদ্যুতিক নয়, অদূর ভবিষ্যতে আরও একগুচ্ছ পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নির্ভর প্রযুক্তির গাড়ি বাজারে আসতে চলেছে।
আমদানি খরচ ও দূষণ কমাতে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারেই জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। যদিও তার সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলতে এখনও বহু পথ বাকি। দামও বিপুল। পাশাপাশি শিল্পের দাবি, বৈদ্যুতিক গাড়িই একমাত্র পরিবেশবান্ধব পরিবহণ প্রযুক্তি হতে পারে না। তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে পেট্রল-ইথানল মিশ্রণ, সিএনজি, এলএনজি, হাইড্রোজেন জ্বালানি নির্ভর প্রযুক্তি। সেটাই এ বারের মেলার মূল ভাবনা।
হুন্ডাইয়ের বিপণন দূত শাহরুখ সংস্থার একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই গাড়ির জ্বালানির বিবর্তনের কথা বলেন। তার ঠিক আগে মারুতি সুজ়ুকি-ও বৈদ্যুতিক এসইউভি গাড়ির ভাবনার ভিত্তিতে একটি মডেল (কনসেপ্ট কার) প্রদর্শন করেছে। সুজ়ুকি মোটর কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট তোশিহিরো সুজ়ুকির বক্তব্য, বৈদ্যুতিকের পাশাপাশি, হাইব্রিড (পেট্রল-বৈদ্যুতিক), সিএনজি-সহ বিভিন্ন বিকল্প জ্বালানিতে জোর দেবেন তাঁরা। এ দিন বৈদ্যুতিক-সহ একগুচ্ছ বিকল্প জ্বালানির গাড়ির ভাবনাভিত্তিক মডেল তুলে ধরে টাটা মোটরস-ও। সংস্থার চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনের দাবি, প্রাথমিক ভাবনার তুলনায় দ্রুত গতিতেই বিকল্প জ্বালানির পথে এগোচ্ছে ভারত।
প্রদর্শনীতে একটি সংস্থার বৈদ্যুতিক চার চাকা। ছবি: দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত
এ দিন বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে সুজ়ুকি গোষ্ঠী ভারতে ১০,০০০ কোটি টাকা এবং কিয়া মোটর ২০০০ কোটি টাকা লগ্নির কথা জানিয়েছে। কিয়া, এমজি মোটর ইন্ডিয়া, অশোক লেল্যান্ড, বিওয়াইডি ইন্ডিয়া, টর্ক মোটর, গ্রিভস কটন, জেবিএম ইন্ডিয়ার মতো সংস্থাও তাদের নতুন গাড়ি, গাড়ির ভাবনা ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করেছে।