—প্রতীকী চিত্র।
অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ) কিনে নিয়ে ব্যাঙ্ক-সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির হিসাবের খাতা পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল সম্পদ পুনর্গঠন সংস্থা (এআরসি)। তাদের কাজ অনাদায়ি ঋণ আদায় এবং বিক্রি। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি এআরসি-র কাজে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের উদ্বেগ বেড়েছে বলে মন্তব্য করলেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর স্বামীনাথন জে। এক সম্মেলনে তাঁর সতর্কবার্তা, এআরসিগুলির নিয়ন্ত্রণ বিধি ভাঙার ঘটনা বাড়ছে। তারা এমন ভাবে কাজ করুক যাতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ককে বিধিভঙ্গ চিহ্নিত করে নোটিস পাঠাতে না হয়।
স্বামীনাথনের বক্তব্য, এনপিএ কিনে তার মীমাংসা করাই এআরসি-র কাজ। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, কোনও কোনও ক্ষেত্রে যৎসামান্য দামে ক্রেতার হাতে সেই এনপিএ তুলে দেওয়ার ঘটনা বাড়ছে। আবার মীমাংসার বিভিন্ন স্তরে এমন ভাবে আর্থিক লেনদেন হচ্ছে, যাতে এআরসি-র মুনাফা হলেও ঘুরপথে ভাঙা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ বিধি। অনেক ক্ষেত্রের বিভিন্ন দফায় এনপিএ-র মূল্যায়নে হেরফের হচ্ছে। এনপিএ নিলামের সময়ে একটি আগ্রহী সংস্থা অন্যটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কি না, অনেক সময়ে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘‘এআরসি-ক নোটিস পাঠালে অনেক ক্ষেত্রে জবাব আসে, এটাই নাকি রেওয়াজ। অনেক সময়ে অজুহাত দেওয়া হয়, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সংশ্লিষ্ট বিধি নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি। বুদ্ধিদীপ্ত ভাবে জবাবগুলি দেওয়া হলেও তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’’ স্বামীনাথনের পরামর্শ, নিয়ন্ত্রণ বিধি যাতে মানা হয় তা এআরসি-র পর্ষদকে নিশ্চিত করতে হবে। অভ্যন্তরীণ অডিট করাতে হবে নিয়মিত।