partha chatterjee

Partha Chatterjee: পার্থের গ্রেফতারে শিল্প দফতরে পড়বে না প্রভাব

প্রশাসনিক রীতি অনুযায়ী, কোনও দফতর আচমকা ফাঁকা হলে তা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে চলে যায়। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২২ ০৯:১০
Share:

ফাইল চিত্র।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে তাতে শিল্প দফতরের কাজকর্মে তেমন কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করছে প্রশাসনের শীর্ষমহল। সংশ্লিষ্টদের যুক্তি, এখন শিল্প দফতরের পরিচালনা প্রধানত রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন কমিটির হাতে। আগামী দিনে সেই কমিটিই সক্রিয় থাকবে।

Advertisement

প্রশাসনিক রীতি অনুযায়ী, কোনও দফতর আচমকা ফাঁকা হলে তা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে চলে যায়। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরে রাজ্যের শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানের উপর জোর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে শপথের সময় থেকেই শিল্প দফতরের মাথায় পৃথক পরামর্শদাতা কমিটি গঠনের খবর ঘোরাফেরা করছিল। বেশ কয়েকমাস আগে আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই কমিটি গঠনও করে রাজ্য। তার মাথায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। এ ছাড়া শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী-সচিবও রয়েছেন কমিটির সদস্য হিসাবে। মুখ্যমন্ত্রী কমিটির প্রধান হওয়ায় সিদ্ধান্তগ্রহণ হয় নির্বিঘ্নেই।

এই দিক থেকে প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে জানাচ্ছেন, পার্থ দফতরের মন্ত্রী থাকলেও, শুরু থেকেই শিল্প সংক্রান্ত গতিবিধিতে শিল্পসচিব বন্দনা যাদব এবং মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি, তাজপুর বন্দর, ডেউচা পাঁচামিতে কয়লা খনি প্রকল্প বা সিলিকন ভ্যালিতে তথ্যপ্রযুক্তির বিনিয়োগ— সব ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীরই সিদ্ধান্ত এবং ঘোষণা ছিল শেষ কথা। তাই শিল্পমন্ত্রী না থাকলেও শিল্প দফতরের কাজে বাধা আসবে না। বরং তা হবে আরও মসৃণ।

Advertisement

নতুন সরকার গঠনের পরে পার্থবাবু শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী হলেও দু’টি ক্ষেত্রেই তাঁকে খুব বেশি সক্রিয় ভূমিকায় দেখেনি রাজ্যের শিল্পমহল। সর্বশেষ বেঙ্গল গ্লোবাল বিজ়নেস সামিটে বরং কিছুটা সক্রিয় ছিলেন ওই দুই দফতরেরই প্রাক্তন মন্ত্রী অমিত মিত্র। মূল ভূমিকা ছিল ওই কমিটিরই। পার্থবাবুর গ্রেফতারির ঘটনায় নানা রকম মত উঠে আসছে শিল্পমহল থেকে। কেউ কেউ মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি এই দুই দফতরের দায়িত্ব হাতে নিলে ভাল। নয়তো রাজ্যের ‘ভাবমূর্তি’র স্বার্থে পার্থবাবুর বদলে অন্য কাউকে সেই দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। একাংশের আবার মতে, এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন না হলেও দীর্ঘমেয়াদে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement