Infocom

‘কৃত্রিম মেধা জরুরি, চোখ থাকুক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায়’

প্রযুক্তি ও শিল্পের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিকে যে বহু দূর যেতে হবে, তা-ই স্পষ্ট হল শুক্রবার ইনফোকমের মঞ্চে বক্তাদের কথায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:৪৭
Share:

সারা খারেগানি। —নিজস্ব চিত্র।

প্রযুক্তি ও শিল্প ক্ষেত্রকে বাড়তি কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে কৃত্রিম মেধা (এআই) যেমন সাহায্য করে চলেছে, তেমনই তার জন্য পৃথিবীকে যে দাম চোকাতে হচ্ছে তা-ও কম নয়। এই দুই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিকে যে বহু দূর যেতে হবে, তা-ই স্পষ্ট হল শুক্রবার ইনফোকমের মঞ্চে বক্তাদের কথায়।

Advertisement

এবিপি গোষ্ঠী আয়োজিত তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে লন্ডনের কিংস কলেজের ব্যবহারিক এআই বিষয়ের অধ্যাপক তথা ব্রিটেন সরকারের এআই দফতরের প্রাক্তন প্রধান সানা খারেগানি জানান, শিল্প ক্ষেত্র কৃত্রিম মেধাকে যে ভাবে গ্রহণ করে তাকে মোটামুটি তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। নতুন ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন বা ডিসরাপশন, চালু পণ্য বা পরিষেবার উন্নতি এবং এখানকার পরিকাঠামোর খোলনলচে বদল। শিল্প সংস্থাগুলি প্রথম দু'টি গ্রহণ করলেও তৃতীয়টি এখনও সে ভাবে পারেনি। হয়তো ঝুঁকি ও খরচের আশঙ্কায়। ফলে এই ক্ষেত্রে এখনও অনেক পথ এগোতে হবে।

তবে এই অগ্রগতির জন্য বিশ্বকে যে ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে, সেই তথ্য চমকে ওঠার মতো। সানা জানাচ্ছেন, চ্যাটজিপিটির সাহায্যে ১০০ শব্দের ই-মেল লিখলে ৫০০ মিলিলিটার জল খরচ হয় সার্ভারের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে। আমেরিকার জনসংখ্যার
অর্ধেক সপ্তাহে একটি করে মেল লিখলে বছরে জলের খরচ পৌঁছয় ৪০০ কোটি লিটারে। কন্ট্রোল এস ডেটা সেন্টারের ম্যানেজড সার্ভিস বিভাগের প্রেসিডেন্ট রঞ্জিত মেতরানির পরামর্শ, প্রযুক্তির অগ্রগতির পক্ষে যুক্তি তো আছেই। সেই সঙ্গে মাথায় থাকুক এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলিও। তিনি জানান, চলতি অর্থবর্ষে কলকাতায় ১৬ মেগাওয়াটের একটি ডেটা সেন্টার তৈরি করবেন তাঁরা। যা হবে পুরোপুরি এআই চালিত। নজর রাখা হবে বিদ্যুৎ ও জল কম খরচের দিকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement