—প্রতীকী ছবি।
পয়লা বৈশাখের আগে কমতে পারে জামাকাপড় ও জুতোর দাম। পণ্য ও পরিষেবা করে (গুড্স অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বা জিএসটি) বড় বদল আনার চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র। শেষ পর্যন্ত জিএসটি কাউন্সিল এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে সংশ্লিষ্ট পণ্য দু’টির বিক্রি যে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে, তা বলাই বাহুল্য।
অর্থ মন্ত্রকের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোল লিখেছে, ‘‘পোশাক ও জুতোর ক্ষেত্রে ১,২০০ টাকা বা ১,৫০০ টাকার নীচে কেনাকাটায় কমতে পারে জিএসটি।’’ পণ্য ও পরিষেবা করের কাঠামো বদলের ব্যাপারে সুপারিশ করতে মন্ত্রিগোষ্ঠীকে (গ্রুপ অফ মিনিস্টার) দায়িত্ব দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। সেখানে এ ব্যাপারে এক প্রস্ত আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র মারফত খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
মানি কন্ট্রোলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১,২০০ টাকা বা ১,৫০০ টাকা পর্যন্ত দামের জামাকাপড়ের ক্ষেত্রে জিএসটি কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। সমমূল্যের জুতোয় ১২ শতাংশ কর ধার্য করার পক্ষপাতী মন্ত্রিগোষ্ঠী। ১,৫০০ টাকার বেশি দামের জুতোয় ১৮ শতাংশ জিএসটি আরোপ করতে চাইছে তারা।
বর্তমানে হাজার টাকার নীচের পোশাকে ক্রেতাদের পাঁচ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়। জামাকাপড়ের দাম হাজার টাকার বেশি হলে কর বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১২ শতাংশ। জুতোর ক্ষেত্রে হাজার টাকার কেনাকাটায় ১২ শতাংশ জিএসটি রয়েছে। তার চেয়ে বেশি দামের জুতোয় ক্রেতাকে ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রকের সূত্রটি মানি কন্ট্রোলকে জানিয়েছে, মন্ত্রিগোষ্ঠীর সুপারিশ জিএসটি কাউন্সিল গ্রহণ করলে তবেই চালু হবে নতুন করকাঠামো। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংসদে পেশ করা বাজেটে নতুন কাঠামোয় আয়করে বিপুল ছাড়ের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। আমজনতার হাতে যাতে বেশি অর্থ থাকে, সে কথা মাথায় রেখে ওই পদক্ষেপ করেন তিনি। জিএসটি কম হলে ঘরোয়া খুচরো বাজারে পণ্যের বিক্রি বাড়বে। একে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন অর্থ মন্ত্রকের ওই আধিকারিক।