বিভিন্ন দেশ মনে করছে, আমেরিকার শুল্ক তাদের বহু পণ্যের বাজার কাড়বে। —প্রতীকী চিত্র।
উদ্বেগ বাড়ছে রফতানিতে। ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ মনে করছে, আমেরিকার শুল্ক তাদের বহু পণ্যের বাজার কাড়বে। তাই অন্যান্য দেশের মতো ভারতের রফতানিকারীরাও সে দেশের আমদানিকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, চড়া শুল্ক পণ্যের দাম বাড়ানোয় চাহিদা কমতে পারে। তখন দেশে উৎপাদন কমাতে হবে। কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা থাকছে। একই সমস্যা হতে পারে আমেরিকার আমদানিকারীদেরও। ফিয়ো-র সভাপতি এসসি রলহন বলেন, “সমস্যা সামলাতে কথা বলতে হবে আমদানিকারীদের সঙ্গে।’’
নিফা এক্সপোর্ট হাউসের ডিরেক্টর রকেশ শাহ বলেন, “আশঙ্কা আঁচ করে আগেই বরাত ছেঁটেছেন আমদানিকারীদের একাংশ।’’ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান ফাউন্ড্রিমেন-এর রফতানি উন্নয়ন শাখা ন্যাশনাল সেন্টার অব এক্সপোর্ট প্রোমোশন-এর চেয়ারম্যান রবি সেহগালের বক্তব্য, “ভারত প্রায় ২০০০ কোটি ডলারের ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানি করে আমেরিকায়। তা ২৫% কমতে পারে।’’ ফিয়ো-র পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান যোগেশ গুপ্তের আশা, বিশ্ব জুড়ে সমস্যা তো হবেই। সঙ্কটে পড়বে আমেরিকাও। মূল্যবৃদ্ধি চড়বে। ফলে শুল্ক-সিদ্ধান্ত ফেরাতে বাধ্য হবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।