প্রতীকী ছবি।
ফের পিছলে গেল গাড়ি শিল্পের চাকা। বছরখানেক বিক্রি কমার পরে অক্টোবরে সার্বিক যাত্রী গাড়ির (যাত্রী গাড়ি, ইউভি ও ভ্যান) পাইকারি বিক্রি (সংস্থাগুলি ডিলারকে যা বেচে) এক শতাংশের কম হলেও, অন্তত বেড়েছিল। ৪% বেড়েছিল খুচরো (ডিলার যা বেচে) বিক্রিও। কিন্তু গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়াম জানাল, নভেম্বরে ফের পাইকারি বিক্রি কমেছে। এই অর্থবর্ষের বাকি সময়েও তা শ্লথ থাকার আশঙ্কা। ফলে উদ্বেগ বেড়েছে শিল্প-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের। মাথা তুলছে আরও কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা।
অর্থনীতির ঝিমুনির জন্য গাড়ির চাহিদায় ভাটা বহু দিন ধরেই। নাগাড়ে কমেছে বিক্রি। কমেছে গাড়ি তৈরিও। চাহিদা কমায় চোট খেয়েছে যন্ত্রাংশ সংস্থাগুলি। ঝাঁপ বন্ধ করেছে বেশ কিছু ডিলার সংস্থা।
সব মিলিয়ে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ৩.৫ লক্ষ কর্মী। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, আর কত জন কাজ হারাবেন? এই সঙ্কট থেকে মুক্তিই বা মিলবে কবে এবং কী ভাবে?
একাংশের অভিযোগ, চাহিদা বাড়াতে কেন্দ্রের পদক্ষেপ ফল দেয়নি। উৎসবের মরসুমে গাড়িতে বিপুল ছাড় দিয়েও লাভ হয়নি। সিয়ামের ডিজি রাজেশ মেননের দাবি, ‘‘পরিকাঠামো ক্ষেত্রে চাহিদার অভাবে ধাক্কা খাচ্ছে বাণিজ্যিক গাড়ি। গ্রামে চাহিদায় ঘাটতির জন্য একই অবস্থা দু’চাকার।’’ চাহিদা বাড়াতে তাঁরা ফের জিএসটি ছাঁটার আর্জি জানিয়েছে। বলেছে, ফেব্রুয়ারি থেকে বিএস-৬ মাপকাঠির তেলের জোগান চালুর কথা।