সতর্ক করে দিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। ফাইল চিত্র।
সপ্তাহের শুরুতে গ্রামাঞ্চলে করোনা সংক্রমণের জেরে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে সতর্ক করেছিল স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখা ইকোর্যাপ। বুধবার বিশ্ব ব্যাঙ্কও জানাল, পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে আগামী দিনে কেন্দ্র আরও বেশি করে সংস্কারের পথে না-হাঁটলে সঙ্কট বাড়বে অর্থনীতির। তাদের মতে, তা কাটিয়ে উঠতে জোর দিতে হবে স্বাস্থ্য, শ্রম, জমি, প্রশিক্ষণ ও আর্থিক ক্ষেত্রের উপরে। সেই সঙ্গে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সতর্কবার্তা, মে মাসে চলতি অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতি ৩.২% কমবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু অবস্থা তার চেয়েও খারাপ হতে পারে। অক্টোবরে আর্থিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার পরেই বোঝা যাবে তা কতটা নামতে পারে।
আজ কেয়ার রেটিংসও জানিয়েছে, অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে অর্থনীতি সঙ্কুচিত হবে ২০%। বিশেষ করে চাপ বাড়বে কল-কারখানার উৎপাদনে। যা সরাসরি কমতে পারে প্রায় ৩৬%। লকডাউন ও তার জেরে তৈরি হওয়া শ্রমিক সমস্যাই যার মূল কারণ বলে ধারণা। মূল্যায়ন সংস্থাটির মতে, কেন্দ্র কিছু পদক্ষেপ করলেও, পরিষেবা থেকে শুরু করে বেসরকারি ক্ষেত্র, রফতানির মতো বিভিন্ন শিল্পে দুর্বলতা স্পষ্ট। ফলে চাপ আরও বাড়বে।
করোনার আগে থেকেই ধুঁকছিল ভারতের অর্থনীতি। বিশ্ব ব্যাঙ্কের মতে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেট সংস্থাগুলির হিসেবের খাতায় চাপ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাঠামোগত সমস্যার কারণে পরিস্থিতি এমনিতেই খারাপ ছিল। তার উপরে করোনার কারণে গ্রামে চাহিদা কমা, ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি এড়িয়ে চলার প্রবণতা অবস্থাকে সঙ্কটজনক করে তুলেছে। বৃদ্ধিতে গতি ফেরাতে কেন্দ্র কর্পোরেট কর কমানোর মতো ব্যবস্থা নিলেও, করোনার কারণে তার সুফল ঘরে তোলার সুযোগ নষ্ট হয়েছে। ফলে উৎপাদন বাড়ানো, বেসরকারি ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করা ও রফতানি বৃদ্ধির উপায় খোঁজা ছাড়া পথ নেই।